হোম অন্যান্যশিক্ষা ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগে বন্ধ রাবির ক্যান্টিন!

ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগে বন্ধ রাবির ক্যান্টিন!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 41 ভিউজ

শিক্ষা ডেস্ক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ক্যান্টিন বন্ধ ঘোষণা করেছে হল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে হলের ক্যান্টিনের মালিকের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনেরই এক নারী কর্মচারী ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ দিলে হল প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন তৎক্ষণাৎ ক্যান্টিন বন্ধ ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত ক্যান্টিন মালিকের নাম হাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা মেহেরচন্ডীর বাসিন্দা। তিনি হল প্রশাসনের থেকে ক্যান্টিন ইজারা নিয়ে খাবারের ব্যবসা করেন ওই হলে।

অভিযোগকারী নারীর দাবি, ক্যান্টিন মালিকের সঙ্গে তার তিন বছরের সম্পর্ক। বিভিন্ন সময়ে ভাড়া বাসায় নিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছে।

তার অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরবেলা ক্যান্টিনে মালিক ছাড়া আর কেউ ছিল না। তখন মালিক শ্লীলতাহানি করে।
এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পাড়ায় মান সম্মান আছে, ঘরে বড় ছেলে আছে। সবকিছু বিবেচনা করে অভিযোগ করব না।

এবিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই কর্মচারী (ভুক্তভোগী) ক্যান্টিন থেকে বাইরে এসে চিৎকার করতে থাকে। তখন ছাত্ররা এগিয়ে এলে ওই নারী জানায়, হাফিজ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে।’0

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ওই নারীর অভিযোগের বিষয়ে হাফিজকে জিজ্ঞেস করা হয়, তখন সে বিষয়টা অস্বীকার করে বলে, ‘ওই মহিলা আজ চুরি করার সময় আরেক মহিলা দেখে ফেলে। সে আমাকে জানালে। আমি তাকে (অভিযোগকারী) জিজ্ঞাসা করি। তখন সে আমার সঙ্গে হাতাহাতি করে।’

হল প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই আমরা হল প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যান্টিনটাকে বন্ধ ঘোষণা করছি। আর সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা সকালে ডাইনিং এ খাবারের ব্যবস্থা করব।’

অভিযুক্ত ক্যান্টিন পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওই মহিলা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, তার সবই মিথ্যা। আমার ক্যান্টিনে ওই মহিলা বাদেও আরও একজন মহিলা কাজ করে। আজ সকালে জানতে পারি ওই মহিলা (ভুক্তভোগী) চাল, ডাল, মসলা ও তেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। সেসময় আরেক মহিলা কর্মচারী তাকে ধরে ফেলে। তখন দুজন মহিলার মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্ক হয়। সেসময় আমি উপস্থিত হয়ে ঝগড়া থামিয়ে দিই। ওই মহিলাকে বলি, ‘আপনি চুরিও করবেন, আবার মারামারিও করবেন।’ তখন ওই মহিলা (ভুক্তভোগী) নিজের জামাকাপড় নিজে ছিঁড়ে শিক্ষার্থী ও প্রভোস্ট স্যারকে দেখাবে বলে আমাদের হুমকি দেয়।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন