জাতীয় ডেস্ক:
মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, সহিংসতা নির্মূল করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মুক্তিযুদ্ধের আলোকে দেশপ্রেমকে সমুন্নত রাখতে সকলের নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করা দরকার। আজকের সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুইদিনব্যাপী আয়োজিত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে কাজ করে যেতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার বিস্তৃত ক্ষেত্রের মধ্যে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ, বিবেকবোধের জায়গা সমুন্নত রাখতে তৎপর হতে হবে। জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মানবিক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
মানবিকতা বোধের চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রয়াত ও বর্তমান নেত্রীরা সবসময় সুস্থির থেকে পরিমিতি বোধের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানের অস্থির সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিতে কাউন্সিলরদের স্থির থাকতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জ্ঞান নির্ভর ইতিবাচক দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিরোধে প্রচলিত আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে হবে, গবেষণার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার উপর জোর দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে নারীকে অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির বাইরে নারীর অবস্থান, নারীর অংশগ্রহণ আরও ব্যাপক হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নারীর প্রতি থাকা বৈষম্য দূর করে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ শুধু জেন্ডার বাজেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজে নারীর অসম অবস্থানকে চিহ্নিত করে তা উত্তরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, মানবিক শিক্ষার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি লক্ষী চক্রবর্তী, সংগঠক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ।