আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া শিশুটি মারা গেছে। জন্মের পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শিশুটি রাফাহর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
গত রোববার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতের পরই রাফাহ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু সাবরিন আল-সাকানির জন্ম হয়। হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেই শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা।
এরপর রাফাহর একটি হাসপাতালে শিশুটিকে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শিশুটি মারা যায়। তাকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত রোববার (২১ এপ্রিল) রাফাহতে ইসরাইলি বাহিনীর পৃথক পৃথক বিমান হামলায় অন্তত ১৬ শিশু মারা যায়। শিশু সাবরিন তাদের একজন।
ওইদিন মধ্যরাতে আল-সাকানি পরিবারের বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। সে সময় শিশু সাবরিনের মা সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হামলার সময় তিনি, তার স্বামী শুকরি ও তাদের তিন বছরের মেয়ে মালাক ঘুমিয়ে ছিল।
হামলায় আল-সাকানি গুরুতর আহত হন। আর তার স্বামী ও মেয়ে মারা যায়। আহত আল-সাকানিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর অপারেশনে তার পেট থেকে জন্ম নেয় শিশু সাবরিন।
শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়। পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যায় সে। জন্মের সময় শিশু সাবরিনের ওজন ছিল ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। চিকিৎসকরা জানান, অকাল জন্মের কারণে জন্মের পরপরই তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।