হোম অন্যান্যসারাদেশ তিন সহোদরসহ ২২ জনের নামে মামলা, ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

তিন সহোদরসহ ২২ জনের নামে মামলা, ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

কর্তৃক
০ মন্তব্য 105 ভিউজ

খুলনা অফিস :
খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে গুলি করে তিনজনকে হত্যা মামলার ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে খুলনার মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর মধ্যে আদালতে আসামি মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন হাসানকে ৮ দিনের এবং আরমান ও জাহাঙ্গীরের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই লুৎফর হায়দার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার জানান, হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি জাফরিনকে ৮ দিনের এবং আরমান ও জাহাঙ্গীরকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মশিয়ালী হত্যাকান্ডের দু’দিন পর শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে মামলা দায়ের করা হয়। নিহত সাইফুল ইসলামের পিতা সাইদুল শেখ বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়া, তার সহোদর বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাফরিন হাসান ও মিল্টন এবং জাহাঙ্গীর ও আরমান সহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে এ হত্যাকান্ডের অন্যতম হোতা শেখ জাফরিন হাসানকে শনিবার বিকাল ৫টায় যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে কেএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এছাড়া শুক্রবার জাফরিন শেখের সহযোগী জাহাঙ্গীর ও আরমানকে পুলিশ যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া থেকে আটক করে। তবে, খানজাহান আলী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত কেবলমাত্র জাহাঙ্গীরকে আটকের কথা স্বীকার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া এবং তার ভাই জাফরিন ও মিল্টন পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় গ্রামের বেশ কয়েকজন জাকারিয়ার বাড়িতে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে যায়। এ সময় জাকারিয়ার সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে মারা যান আটরা গিলাতলার মশিয়ালী এলাকার মৃত মোঃ বারিক শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই এলাকার মোঃ ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ হন মোঃ সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। এর মধ্যে আহত সাইফুল ইসলাম ১৭ জুলাই রাতে মারা যান। অপরদিকে, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী গণপিটুনী দিয়ে জাকারিয়া বাহিনীর সদস্য জিহাদ শেখকে হত্যা করে। এ ঘটনায় মোট ৪জন নিহতের ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন