হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরে না খেয়ে দিন পার করছে ৭ মাসের জমজ শিশু কন্যা সাথী যুথি, সহযোগিতা কামনা

মনিরামপুরে না খেয়ে দিন পার করছে ৭ মাসের জমজ শিশু কন্যা সাথী যুথি, সহযোগিতা কামনা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 202 ভিউজ

মনিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি :

সাথী, যুথী(০৭ মাস) নামে দুই কন্যা ছোট্ট শিশুর বেঁচে থাকার যুদ্ধ যেনো এক মায়ের বুক ভরা কান্না।মণিরামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটী গ্রামের ইট ভাটা শ্রমিক ইমরান হোসেনের স্ত্রী তানজিলা খাতুনের গর্ভে জন্ম নেই জমজ দুই কন্যা সন্তান।সেই থেকে প্রতিদিন ৭ শত টাকার দুধ কিনে খাওয়াতে হয় তার দুই কন্যা সন্তান কে। সাথী,যুথির পিতা ইমরান হোসেন ইটভাটার শ্রমিকের কাজ করে।যার দৈনিক হাজিরা পায় মাত্র ২ থেকে ৩ শত টাকা,সেই অর্থ দিয়ে নিজের সংসারের খরচ যোগাতে হিমসিম খেতে হয়।

জমানো কিছু অর্থ ছিলো ইতিমধ্যে সেই সেই অর্থ দিয়ে প্রায় ৭ মাস প্রতিদিন ৭০০ টাকার দুধ কিনে তুলে দিয়েছে জমজ দুই ছোট্ট শিশু সন্তানের মুখে।তার মাঝে দুই জমজ কন্যার ডাক্তার ও ঔষধ নিয়মিত চলতেই থাকে।সর্বশেষ ভিটা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই। প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে ভাতের ফেন, সুজি,ও আটা রান্না করে দুই কন্যা সন্তানের মুখে তুলে দিচ্ছেন।ফলে দিনে দিনে সাথী,যুথি(০৭মাস) শারীরিক অবস্থা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা দিচ্ছে।ঠান্ডা জ্বর সহ নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই ছোট্ট দুই শিশু কন্যা।

সাথী, যুথি (০৭মাস) এর দাদি সালিমা বেগম বলেন আমার স্বামী একজন শ্রমিক, ছেলে ইট ভাটায় কাজ করে,দুই জনে মিলে প্রতিদিন ৫০০ শত টাকা রোজগার করে যা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়।খেয়ে না খেয়ে পুতনির জন্য দুধ কিনে খাওয়াই।তাদের খিদের কান্নায় আমার বুক ফেঁটে যায়।শুধু দুধ নয় নিয়মিত চিকিৎসা করাতে হয়।এই সাতটা মাস তাদের দুধ কিনে খাওয়াতে যেয়ে গোছানো কিছু অর্থ ছিলো তাও শেষ।যে কারনে সমাজের সর্বসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছি। সকলের কাছে হাত জোড় করে আমার জমজ দুই পুতনির জন্য ভিক্ষা চাইছি,আমার ভিটা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই।সংসারের অভাব অনাটনের কারনে ছোট্ট জমজ দুই কণ্যা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় দিনে দিনে অস্বাস্থ্যকর শরীরে পরিণত হচ্ছে।দুধ কিনতে না পারাই আঁটা গোলা খেয়ে কোনো রকমে বেঁচে থাকার যুদ্ধ করছে দুই শিশু কন্যা।সহযোগিতা করতে যোগাযোগ ও বিকাশ সাথী,যুথির দাদি সালিমা বেগম, 01963024625 কৃষি ব্যাংক 16090310242826 পাঠাতে পারেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন