হোম অর্থ ও বাণিজ্য নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে অস্বস্তিতে সরকার!

নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে অস্বস্তিতে সরকার!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 105 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

বাজারে নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম নিয়ে অস্বস্তিতে সরকার। সাধারণ মানুষের কষ্টের চাপে ফুলেফেঁপে উঠছে মূল্যস্ফীতি। ডলার সংকটে বাজার সামাল দিতে আমদানি করতে হচ্ছে হিসাব-নিকাশ করে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগেও দুর্বলতা আছে সরকারি সংস্থার।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে পৃখক অনুষ্ঠানে বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিুট।

টিসিবির হিসাবে, জানুয়ারিতে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১২০ টাকা। ৪২-৪৫ টাকা হালির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম ঠেকেছে ২০০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম চাপ বাড়িয়েছে মূল্যস্ফীতিতে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, অক্টোবরের পরের দুমাসে মূল্যস্ফিতি ৯.৯৩ শতাংশ থেকে নেমে আসে ৯.৪১ শতাংশে। তবে চলতি বছরের শুরুতে সার্বিক মূল্যস্ফিতি আবারও বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে উঠেছে।

এমন পরিস্থিতিতে আগারগাঁওয়ে নিজ দফতরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশের মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসোয়েভ-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে সাধারণ মানুষের কষ্ট নিয়ে সরকার চাপে আছে।

তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটে এলসি নিয়ে যে জটিলতা আছে তা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়েও অস্বস্তি আছে। তবে এর পরও দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে মূল্যস্ফীতি তথা দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে পণ্য শুধু আমদানিতেই সমাধান দেখছেন না বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। বাজারে অস্থিরতার জন্য আইন প্রয়োগের দুর্বলতা আছে বলেও জানান তিনি।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে আমদানি করে পণ্য দেয়া কঠিন। এর জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আগে বাজারে টাকা দিলেও পণ্য পাওয়া যেত না। তবে এখন আর সেই সমস্যা নেই। এখন মানুষের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা আছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকলে কাজ করা হচ্ছে।

সরবরাহ ব্যবস্থাকে নিরবিচ্ছিন্ন করেতে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে তিনি বলেন, রিজার্ভ নেই সেটি বলা যাবে না। রিজার্ভে চাপে আছে। ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের অর্থ খরচ করে পণ্য না আনলে রিজার্ভ করে লাভ নেই। রিজার্ভের টাকা খরচ করে পণ্য নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে রমজানে বাজারে পণ্যের সংকট থাকবে না।

ডলার সংকটে আমদানি বাণিজ্যে আছে এলসি জটিলতা। চাপ বাড়ছে বিদেশি ঋণ শোধেরও। সবমিলিয়ে অর্থনীতিতে বিদ্যমান চাপ কাটাতে সময় লাগবে বলে জানাচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন