রাজনীতি ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি অটোরিকশাচালক রানাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাচালক রানা (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রানা সোনারগাঁও উপজেলার মাঝের চর এলাকার ইউপি সদস্য সোহরাব মেম্বারের ছেলে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের এই মিডিয়া অফিসার জানান, সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও চর নোয়াগাঁও গ্রামের শফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম গত ২৫ জানুয়ারি বিকেল আনুমানিক পৌনে চারটায় ব্যবসার কাজে রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা-গাউছিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠেন। দীর্ঘ সময় কোনও যাত্রী না উঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার কারণে অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন, অটোচালক দায়েন ও রানার সঙ্গে নজরুলের তর্ক-বিতর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানা লাঠি দিয়ে নজরুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তাদের সঙ্গে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরাও কিল ঘুষি এবং মারধর করে। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মাঝের চর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানাসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় আসামি রানাকে র্যাব গ্রেফতার করে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আসামি রানাকে সোনারগাঁও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।