হোম রংপুরকুড়িগ্রাম ঘরে ঢুকে ছেলে দেখলেন মায়ের গলাকাটা লাশ, পাশে দাঁড়িয়ে বাবা

ঘরে ঢুকে ছেলে দেখলেন মায়ের গলাকাটা লাশ, পাশে দাঁড়িয়ে বাবা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 118 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

গভীর রাতে শব্দ শুনে পাশের ঘরে থাকা ছেলে ঘুম থেকে উঠে এসে দেখে মায়ের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে বিছানায় আর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বাবা। পরে বাবা ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা জেগে উঠলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বাবা।

রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকার কবিরের ভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা স্বামী সত্য চন্দ্র শীলের বাড়ি থেকে স্ত্রী লতা রানীর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্বজন ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার স্ত্রী লতা রানীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

নাগেশ্বরী পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামসুল হক জানান, রাতে স্বামীসহ এক ঘরের ছিলেন লতা রানী। পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল ১৭ বছরের ছেলে সাগর। গভীর রাতে শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে মায়ের ঘরে এসে দেখতে পান বিছানায় পড়ে আছে মায়ের গলাকাটা মরদেহ। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বাবা। মায়ের এমন অবস্থা দেখে বাবার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছেলে। তাদের চিৎকাওে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জেগে উঠেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যান সত্য চন্দ্র শীল।

কাউন্সিলর জানান, বছর খানেক আগে লতা রানী তার স্বামীকে না জানিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা ধার নেন। সেই টাকা পরিশোধ করতে কিছু জমিও বিক্রি করেছেন তারা। কিন্তু তাতে টাকা পরিশোধ না হওয়ায় ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করতে চান লতা রানী। এ বিষয়ে সম্মতি দেননি স্বামী সত্য চন্দ্র শীল। এ বিষয় ছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। হয়ত এসব বিষয় নিয়ে রাতে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে হত্যা করে থাকতে পারেন সত্য চন্দ্র শীল। বিছানায় রক্তমাখা কুড়ালও পড়েছিল।

এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার জানান, মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন