হোম অর্থ ও বাণিজ্য রিচার্জ ও প্যাকেজ নৈরাজ্য গ্রাহকদের নতুন অস্বস্তিতে ফেলেছে: বিএমপিসিএ

রিচার্জ ও প্যাকেজ নৈরাজ্য গ্রাহকদের নতুন অস্বস্তিতে ফেলেছে: বিএমপিসিএ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 59 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

বেসরকারি সেবামূলক মোবাইল অপারেটরদের রিচার্জ ও প্যাকেজ নৈরাজ্য গ্রাহকদের নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিসিএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সব অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে ছয় মাসের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক লক্ষ্যমাত্রা। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। আমরা তার এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাধুবাদ জানাই, পাশাপাশি অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই।

আরও বলা হয়েছে, পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য এনইআইআর প্রকল্প পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসব বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় যতক্ষণ-না ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং মন্ত্রী পূর্বের নিজস্ব প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বন্ধ করা যায়। আমাদের মতামত হলো প্রথমে দুর্নীতি বন্ধ করা, গ্রাহকের সেবার মান বৃদ্ধি করা, সংশ্লিষ্ট দফতর এবং কমিশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা।

এরই মধ্যে ফাইভ-জি প্রকল্পের ইকুইপমেন্ট (ডব্লিউ এম) ক্রয় এবং ফাইবার প্রকল্পে বড়মাপের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উল্লেখ করে বিএমপিসিএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সংযুক্তির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি সব অফিস, দফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে ৫৮৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ইডিসি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতির বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়াও টেলিটকের দুর্নীতি, গ্রাহকের ভোগান্তি, সেবা না দেয়া, টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগে অজস্র অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বহু পূর্বের। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। অনেকের কাছে জানা যায়, এই কমিশনেও নাকি অনেক কর্মকর্তা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। টেসিস আজ অন্ধকারে, বিটিসিএলের দুর্নীতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে ডট। তাই সবার আগে আমরা মনে করি জনগণের প্রত্যাশা ও ভোগান্তি নিরসন করে দুর্নীতি বন্ধ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসরকারি সেবামূলক মোবাইল অপারেটরদের লাগামহীন নৈরাজ্য, এনটিটিএন, আইআইজি, আইজিডব্লিউ, আই সিএক্স, এমএনপি অপারেটর, ভ্যাস অপারেটর, টাওয়ারকো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবার মানে গ্রাহক অসন্তোষ এটি মন্ত্রী নিজেও জানেন। রিচার্জ ,প্যাকেজ নৈরাজ্য গ্রাহকদের নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে। এ ছাড়াও আরও বহুবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে মন্ত্রণালয়গুলোয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন