আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার কথা উঠলে ঘুরে ফিরে একটি প্রসঙ্গ আসবেই। আর তা হলো সাপ। এটি এখন অস্ট্রেলিয়ার মানুষের মাথা ব্যাথার একটি বড় কারণ। মেলবোর্নের মানুষরা যখন-তখন যেখানে সেখানে মুখোমুখি হচ্ছেন সাপের। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এক নারী তার তিন বছরের শিশু কন্যার ওয়ারড্রবে আবিষ্কার করেছেন ‘বিশ্বের দ্বিতীয়’ বিষধর সাপ।
এই ঘটনার পর ডাক পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সাপ শিকারী ও গবেষক মার্ক পেলির; ওই ঘর থেকে ৫ ফুট লম্বা বাদামী রঙের বিষধর সাপ তাড়ানোর জন্য। পেলি সেই সাপ ধরার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি পুরো ঘটনাটির একটি চমকপ্রদ বর্ণনাও দিয়েছেন।
তিনি লেখেন, ‘মা তার বাচ্চার জন্য একটি জামা আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জামা নেয়ার জন্য ওয়ারড্রবটি খুলতেই সেখানে তিনি দেখতে পান, একটি লম্বা বাদামী রঙের সাপ ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা বোঝার চেষ্টা করলাম এটা কীভাবে ঘটল। তখন বুঝলাম, ওই নারী ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার জন্য কাপড় মনে করে এর সঙ্গে সাপটিকেও এনেছিল। কাপড়ের মধ্যে সাপটি কুণ্ডলি পাকিয়ে ছিল।’
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনম গবেষণা ইউনিটের তথ্যানুসারে, অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের এই বাদামী রঙের সাপ বিশ্বের বিষাক্ত সাপের মধ্যে দ্বিতীয়। নিউজ উইকের তথ্যমতে, ‘এই জাতের সাপের বিষে শক্তিশালী নিউরোটক্সিন থাকে, যা কাউকে কামড়ালে আস্তে আস্তে রোগীর ধমনী, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড অকোজো হয়ে পড়ে।
কুইন্সল্যান্ডের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ ধরনের সাপ সাধারণত দিনে কামড়ায় এবং তাদের উত্যক্ত না করা পর্যন্ত কামড়ায় না।
অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিনডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সরীসৃপ গবেষক আলেজান্দ্রো পালসি নিউজ উইককে জানান, অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে কৃষিজমি ও শহরতলির এলাকাগুলোতে এই সাপ বেশি দেখা যায়। কারণ এসব জায়গায় তারা তাদের শিকার ‘ইঁদুর’ ধরতে পারে। পর্যাপ্ত খাবার পায় বলে এরা বড়ও হয় দ্রুত।
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট, এনডিটিভি