স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথমবারের মতো মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি হিসেবে হিসেবে তৃতীয় মেয়াদ পার করা এই সংগঠক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে পেয়েছেন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ছিল মন্ত্রী হিসেবে পাপনের প্রথম কর্মদিবস। মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেওয়া হয়েছে তাকে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী পাপনকে আজ আজ শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিল বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিরা। অন্য সব ফেডারেশনের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকেও শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিল তাকে। তবে অধিকাংশ ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এলেও বাফুফে থেকে একজন সহসভাপতির নেতৃত্বে দুইজন সদস্য, সাধারণ সম্পাদক এবং কয়েকজন স্টাফ উপস্থিত হয়েছিলেন।
বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চিকিৎসাধীন থাকায় উপস্থিত ছিলেন না। সদ্যই দায়িত্ব বুঝে পাওয়া মন্ত্রী পাপন বাফুফের প্রতিনিধিবরগের কাছে বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সভাপতির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের জিজ্ঞেস করেছেন এবং পাশাপাশি দেখতে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন।’ তবে কবে এবং কোথায় পাপন বাফুফের সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তা খোলাসা করেননি তুষার।
সালাউদ্দিন গত বছর ডিসেম্বরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৬ ডিসেম্বর বাফুফে ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নতুন নামফলক উন্মোচন করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বাইপাস সার্জারি করিয়েছেন তিনি। যে কারণে তিন সপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে থেকে সদ্য বাষায় ফিরেছেন বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন। তবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িতেই নিবিড় পরিচর্যায় থাকতে হবে তাকে। এরপর চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে জনসম্মুখে ফিরতে পারেন তিনি।
নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে থেকেই সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। পূর্বের এক ঘটনায় বাফুফে সভাপতি বিসিবির সভাপতিকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন। সে সময় যা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।