হোম খুলনা পাইকগাছা মৎস আড়ৎ বিরুদ্ধে নদীর জমি দখলের সত্যতা পাইনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

পাইকগাছা মৎস আড়ৎ বিরুদ্ধে নদীর জমি দখলের সত্যতা পাইনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 371 ভিউজ

আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা :

পাইকগাছায় ব্যবসা বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু মৎস আড়ৎ। এখনে কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয় প্রতিদিন। শিবসা নদীর তীরে সেই মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে স্থপনা নির্মান করলেও কিছু স্বার্থনেশী মহল প্রশাসন কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্মান কাজ বাঁধাগ্রস্থ করার অভিযোগ তুলেছেন আড়ৎদারি সমিতির সদস্যরা। নদীর সীমানা ও মৎস আড়ৎতের জমি মেপে দখলের সত্যতা পাইনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ২০০০ সালে বাতিখালী মৌযায় এস এ ৩৪১ এবং ৩৪২ দাগে ১২৩০ এবং ১২৩১ নাম্বার পৃথক দুইটি কবলা দলিলে ৪৮ শতাংশ জমি একই গ্রামের দুলাল সরকার ও সুকৃতি সরকারদের শরিদের নিকট থেকে আড়ৎ মালিক জামিরুল ইসলাম, জব্বার সরদারসহ সমিতির নামে রেজিস্ট্রি হয়। শিবসা নদীর তীরের জমি হওয়ায় সেসময় আড়ৎ মালিকরা উচু জমিতে আড়ৎ নির্মান করে বাকি জমি নিচু হওয়ায় কারনে পতিত থাকে। পরবর্তীতে পাইকগাছা চিংড়ি বিপনন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় মাছ প্রসেসিং করার জায়গার সংকটে পড়ে মাছ ব্যবসায়ীরা। মাছ প্রসেসিং করার জন্য মৎস আড়ৎদারি সমিতির সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের ক্রয়কৃত জমি ভরাট করে মাছ প্রসেসিং করার জন্য কাজ শুরু করে।

পাইকগাছা মৎস আড়ৎদারি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক মিঠু বলেন, আমরা সরকারী ও শিবসা নদীর জমি দখল করছিনা। আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে মাছ প্রসেসিং করার জন্য শেড নির্মান করছি। আমারা এখনো প্রায় ৪০ ফুট জমি পূর্ব দিকে পাব। যেটা সরকারী সার্বেয়ার ও নায়েব মাপ দিয়ে লাল ফ্লাগ দিয়ে সিমানা নির্ধারণ করেছে। কিছু মানুষ পাইকগাছা মৎস আড়ৎদারি সমবায় সমিতির সুনাম ও ব্যবসা নষ্ট করার জন্য প্রসাসন ও সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও ভুল তথ্য সরবারাহ করে আমাদেরকে হেয় করার চেষ্টা করছে।

উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লতিফা বেগম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে মৎস আড়ৎ ও শিবসা নদীর সীমানা নির্ধারণ সক্রান্ত জটিলতা সমাধানের জন্য উপজেলা সার্ভেয়ার কওসার আহম্মেদসহ অন্যদের নিয়ে জমি পরিমাপ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে যে মৎস আড়ৎদারি সমিতি যে স্থপনা নির্মান করছে তার পূর্ব পাশে তাদের আরো প্রায় ৪০ ফুট জায়গা রয়েছে। পরিমাপ শেষে সীমানায় লাল ফ্লাগ পুতে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি। তারা কোন সরকারী সম্পতি দখল করেনি।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, সহকারী কমিশনার ভূমি ছুটিতে আছেন। আসলে আবারো জমি পরিমাপ করা হবে। তার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সে পর্যন্ত সকল কাজ বন্ধ থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন