রাজনীতি ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের নাম নেই। তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভার সদস্য হতে না পারায় তার কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই।
শ ম রেজাউল করিম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। অন্যদের স্থান করে দিতে হলে কাউকে না কাউকে তো সরাতে হবে। যাদের নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক এবং অন্যান্য বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।’
এদিকে রেজাউল করিম মন্ত্রী তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় এলাকায় আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম শ ম রেজাউল করিম আবারও মন্ত্রিসভায় থাকবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী যা ভালো মনে করেছেন তাই করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে তাকে ভালো কোনো জায়গায় স্থান দেবেন।’
জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান জিয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পাঁচ বছর শ ম রেজাউল করিম সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন নতুন মন্ত্রিসভায় তাকে রাখা হয়নি। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, তিনি তো আমাদের পিরোজপুর-১ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আমাদের নেতা। তার মাধ্যমেই আমাদের এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে। বাকি উন্নয়ন তার মাধ্যমে করতে পারব, এটা আমার বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সিদ্ধান্তে আমরা একমত আছি। প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য চিন্তা করে যা মঙ্গলময় হয় সেটাই তিনি করেছেন।
জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চাঁন বলেন, কাকে মন্ত্রিসভায় নেবে আর নেবে না এটা শুধু প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এখানে আমার বলার কিছু থাকে না।
এ ব্যাপারে জাতীয় মহিলা সংস্থা পিরোজপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান শিরিন আফরোজ বলেন, দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং গত পাঁচ বছরের ক্লিন ইমেজ বিবেচনায় শ ম রেজাউল করিম আবারও মন্ত্রিত্ব পাবেন বলে ভেবে ছিলাম। আমি এখনও আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে আরও ভালো কোনো ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করবেন।