হোম রাজনীতি হবিগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

হবিগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 108 ভিউজ

রাজনীতি ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সোমবার (০১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া গ্রামে নিজ-বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এসময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি গাজী মোহাম্মদ জাফর ছাদেক কয়েছসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে মনোনয়ন দাখিল করি। পরবর্তীতে আমার মনোনয়ন বৈধ হয় ও আমাকে ট্রাক প্রতীক দেয়া হয়। আমিও আমার নির্বাচন কার্যক্রম শুরু করি। কিন্তু বর্তমান শারীরিক অসুস্থতা আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে, আমার এক ভাই ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মামা মৃত্যুবরণ করায় আমিও মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। ফলে শারীরিক ও মানষিকভাবে আমার পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, তাই আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

শুরু থেকে নবীগঞ্জ-বাহুবলবাসী আমার ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, আমি ও আমার পরিবার আপনাদের কাছে চিরঋণী। আমার মরহুম পিতা জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী মৃত্যুর আগপর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল তথা দিনারপুর পরগনাবাসীর পাশে ছিলেন, আমরা সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি ভবিষ্যতেও থাকব।’

গাজী মোাহাম্মদ শাহেদ হবিগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদের ছোট ভাই ও এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান ফরিদ গাজীর সন্তান। এবারের নির্বাচনে তার ভাই গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হলে শাহেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

এ আসনে মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছিলেন ৮ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোাহাম্মদ শাহেদ, ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারকানী, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের মো. নুরুল হক, জাকের পার্টির মোছা. ইয়াসমিন আক্তার মুন্নী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মো. মনিরুল ইসলাম চৌধুরী। পরে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টিকে এ আসন ছেড়ে দিলে মুশফিক চৌধুরী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন