জাতীয় ডেস্ক:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতারণা করে রোগীর স্বজনের টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফারুক মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালটির পুরাতন ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক ফারুক মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায়।
হাসপাতালের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের অতিরিক্ত ১২ নম্বর বিছানায় ভর্তি মিনারা বেগমের (৫৫) স্বামী ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলায়। স্ত্রীর শরীরে ফোঁড়া হওয়ায় তিন দিন আগে তাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। বুধবার রাতে মিনারার অস্ত্রোপচার হয়। পরে তাকে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডেই রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার দিকে ওই যুবক তাদের বেডের কাছে এসে একটি নাম উল্লেখ করে জানান এটি তার বাবার নাম। তিনি তাদের আত্মীয় হন। তিনি এ হাসপাতালে চাকরি করেন। এরপর তাদের সঙ্গে আলাপ জমান। একপর্যায়ে বলেন, চাইলে তিনি ডাক্তারকে বলে তাদের সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি করিয়ে দিতে পারেন।
খোরশেদ জানান, খাতির জমে গেলে ফারুক খোরশেদকে তার সঙ্গে দ্বিতীয় তলায় ডাক্তারের কাছে যেতে বলেন। তবে টাকা-পয়সা থাকলে স্ত্রীর কাছে রেখে যেতে। দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ডাক্তারের কাছে যেন বলেন, তাদের কাছে কোনো টাকা-পয়সা নেই। চিকিৎসা করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কথামতো ১৬ হাজার ৫০০ টাকা স্ত্রীর হাতে দিয়ে খোরশেদ ওই যুবকের সঙ্গে দ্বিতীয় তলায় যান। তখন ওই যুবক ভেতর থেকে আসছি বলে খোরশেদকে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। কিছুক্ষণ পর ওই যুবক সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে যেতে থাকেন। দূর থেকে দেখে খোরশেদের সন্দেহ হলে তিনিও নিচে নেমে যান। তখন ওই যুবককে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বের হতে দেখেন। খোরশেদকে দেখেই তিনি দৌড় দেন। খোরশেদ তার পিছু নিয়ে চিৎকার করতে থাকলে হাসপাতালের আনসার সদস্যরা ওই যুবককে ধরে ফেলেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন স্ত্রীর কাছে রেখে যাওয়া ১৬ হাজার ৫০০ টাকা কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন ফারুক।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ছিনতাইয়ের পর হাতেনাতে ওই যুবককে আটক করেছেন ভুক্তভোগী ও আনসার সদস্যরা। তার কাছ থেকে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হবে।