জাতীয় ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ জানুয়ারির ভোট বন্ধ করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আবারও আহ্বান জানিয়েছেন পেশাজীবী নেতারা। তারা বলছেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
নির্বাচন সামনে রেখে ভোটে অংশ নেয়া দলগুলো যখন ব্যস্ত নিজেদের প্রচারণা নিয়ে, ঠিক তখন সরকার বিরোধী দল ও বিভিন্ন সংগঠন ভোট বর্জনের প্রচারপত্র বিলি করে সাধারণ মানুষকে ভোটবিমুখ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হরতাল- অবরোধ আর অসহযোগ আন্দোলনের মাঝেই নির্বাচন বয়কটের গণসংযোগে এখন মনোযোগী বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিএনপিপন্থি বিভিন্ন সংগঠন ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্বাচন বিরোধী সমাবেশ করেন তারা।
মাঠের বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না মন্তব্য করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিয়ে সরকারকে দ্রুত আলোচনা তাগিদ দেন।
এ সময় সরকারের ‘একতরফা নির্বাচনের’ সমালোচনা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন পেশাজীবীরা।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সরকারের পদত্যাগ ও ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জনের জন্য গণসংযোগ করে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবীরা।
তোপখানা রোড হয়ে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেন তারা। এ সময় তারা জনগণকে ‘একতরফা নির্বাচনে’ ভোট কেন্দ্রে না যেতে উদ্বুদ্ধ করে আহ্বান জানান।