আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলা এবং জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা (যুদ্ধাস্ত্র) ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে ‘সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার জান্তা। চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্য এবং পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় প্রতিরোধ জোটের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে পড়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
এবার শান রাজ্যে চলতি মাসের শুরুতে বিমান হামলায় জান্তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যামনেস্টির অস্ত্র তদন্তকারীরা প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ করে ক্লাস্টার বোমার সন্দেহের সপক্ষে প্রমাণ হাজির করেছেন।
বেসামরিক ১০ নাগরিকের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে অ্যামনেস্টি বলছে, রাখাইন রাজ্যের পাউক তাও-তে বেসামরিক নাগরিকেরা লুটপাট, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অমানবিক আচরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স প্রোগ্রামের পরিচালক ম্যাট ওয়েলস বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের নৃশংস প্রতিক্রিয়া হিসেবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কেবল রক্তক্ষয়ী হামলাই চালাচ্ছে না, তাদের জন্য রেখে যাচ্ছে বিধ্বংসী পরিণতি।
এ ব্যাপারে জান্তার মুখপাত্র জাও মিন টুনের মন্তব্য পায়নি রয়টার্স। জাও মিন টুন এর আগে ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে বৈধ পদক্ষেপ বলে অভিহিত অভিযানগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর শান রাজ্যে সামরিক পোস্টে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে এবং বেশ কয়েকটি শহরের দখল নেয়। এ আক্রমণের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন ১০২৭’।