আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমানোর জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার তিন সপ্তাহ এবং পেটে সমস্যা ধরা পড়ার ৪৮ ঘণ্টা পর রক্ত জমাট বেধে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লায়লা খান নামে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী তীব্র পিরিয়ডের ব্যথা অনুভব করছিলেন। পরে তার বন্ধুরা তাকে ব্যথা কমানোর জন্য একটি গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এরপর ওই কলেজ ছাত্রী গত ২৫ নভেম্বর থেকে ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করেন। তবে গেল ৫ ডিসেম্বর থেকে তার মাথাব্যথা শুরু হয় এবং সপ্তাহের শেষের দিকে শুরু হয় বমি।
লায়লার পরিবার জানিয়েছে, অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তারা লায়লাকে চেক-আপের জন্য নিয়ে যায়। সে সময় লায়লা প্রতি ৩০ মিনিট পরপর বমি করছিল। তার পেটে সমস্যা আছে জানিয়ে চিকিৎসকরা একটি ট্যাবলেটও দিয়েছিল।
তার পরিবারের দাবি, তারা জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা হেল্পলাইনে (১১১) যখন কল করেছিল, তখনও সেখান থেকে লায়লার ‘জীবন হুমকির মুখে’ আছে বা অন্য কোনো আশঙ্কার কথা জানানো হয়নি।
পড়াশোনায় ভালো ছিলেন লায়লা খান। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নেবেন বলেও বিশ্বাস করতেন তার শিক্ষকরা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না লায়লার।
এদিকে, প্রতিস্থাপন অপারেশনের জন্য লায়লার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করেছে তার পরিবার। তারা জানিয়েছেন, বড়দিনের উৎসবের আগে লায়লার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাঁচজনের জীবন বাঁচিয়েছে।