হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় হোটেল নারী শ্রমিককে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা শহরের হোটেল নারী কর্মচারী বাসিরোন নেছাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আব্বাস হোটেলের বর্তমান মালিক হযরত আলীর গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন ও রেস্তোরাঁ হোটেল বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্বদেশ এনজিওর নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সাতক্ষীরা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম হোসেন, জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল সাত্তার, লাবসা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী এন্তাজ আলী মোড়ল, স্বপন পন্ডে, কয়ারেশ দাস প্রমূখ।

মানববন্ধনে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে হোটেল নারী কর্মচারী বাসিরোন নেছাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক হযরত আলীর গ্রেপ্তার করে সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

আলোচিত ঘটনার নায়ক শহরের নিউ মার্কেট এলাকার মেসার্স নিউ আব্বাস হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজ এর স্বত্ত্বাধিকারি সদর উপজেলার ফয়জুল্যাপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে হযরত আলী ও নির্যাতিত নারী শহরের দক্ষিণ কাটিয়ার আহম্মদ আলী সরদারের কন্যা বাসিরোন নেছা।

নির্যাতিত নারি বাসিরোন নেছা জানান, তিন বছর আগে আসামী হযরত আলী মেসার্স নিউ আব্বাস হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজ নামে নিউ মার্কেট মোড় এলাকায় ব্যবসা শুরু করে। আমি সেখানে রাধুনির কাজ নেই। কাজের সুবাদে হোটেল মালিক হযরত আলী বিভিন্ন সময় আমার সাথে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ের তার কুদৃষ্টি পড়ে আমার দিকে। আমাকে অনৈতিক প্রস্তাবও দেয়। আমি তাতে রাজি না হলে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শহরের কামালনগরে বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে আমাকে রেখে সে যাওয়া আসা শুরু করে। আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে নানান অজুহাতে এড়িয়ে যেতে থাকে। এরই মধ্যে আমার কাছে থাকা ৩লাখ ২০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পে লিখিত পড়িত করে এক মাসের জন্য ধার নেয় সে। এঘটনায় সংগঠনের শালিসে বিচার না পেয়ে চলতি বছরের ৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা নারি ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হযরত আলীকে আসামী করে দন্ডবিধির নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই সাতক্ষীরাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে পিবিআই এর এসআই সোহান হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।

তিনি আরো বলেন প্রতারক হোটেল মালিক গ্রহণকৃত টাকা লিখিত পড়িত থাকার পরও ফেরত না দিয়ে উল্টো তার নামে প্রতারণার মামলা করেছেন। মামলাটি সিআইডি সাতক্ষীরা তদন্তাধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন