হোম অন্যান্যসারাদেশ কাপড় নেয়ার ছলে মালিকের ছেলেকেই অপহরণ করে নূর

অনলাইন ডেস্ক:

কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা পরিচয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কর্মচারীর চাকরি নিয়েছিলেন মোহাম্মদ নূর নামে এক রোহিঙ্গা যুবক। চাকরি ছেড়ে ফেরার সময় মালিকের সাত বছরের ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যান নূর। শিশুটিকে কক্সবাজারের একটি রিসোর্টে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। যদিও দুদিন পর পুলিশ সেই শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ নুরকেও।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। আটক নূর উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শাহ আলমের ছেলে। উদ্ধার শিশু আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি বাগানের ফরিদুল আলমের ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, দেড় মাস আগে মোহাম্মদ নূরকে চুনতির ফরিদুল আলম তার মুরগির খামারে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। শিশুটি নূরকে ভাইয়া বলে ডাকতে শুরু করে। ৭ ডিসেম্বর মোহাম্মদ নূর মালিককে জানিয়ে দেন তিনি আর কাজ করবেন না। মালিকও নূরকে তার বকেয়া পরিশোধ করে দেন। ৮ ডিসেম্বর নূর কাপড় নেয়ার কৌশলে শিশুকে ট্রেন দেখাবে বলে অপহরণ করে কক্সবাজারে নিয়ে আসে।

মাহফুজুল আরও জানান, ফরিদুলের মোবাইল নম্বরে অপহরণের কথা জানিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন নূর। ফরিদুল বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকাও দেন। বাকি টাকা নিয়ে ফরিদুলকে কক্সবাজার আসতে বলেন নূর। ফরিদুল ৮ ডিসেম্বর লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় কলাতলীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্ব পাশে আবাসিক প্রতিষ্ঠান প্রিন্স রিসোর্টের ১০৩ নম্বর কক্ষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়।

নূরের বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানায় মামলা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন