রাজনীতি ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। তবে ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দলের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন দলের হয়ে এবং স্বতন্ত্র হিসেবেও ৩০০ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তারা।
তালিকায় আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে এম একরামুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাবেক এমপিরা।
এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ ইতিবাচক।
বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিতি বগুড়ার চারটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। বগুড়া-১ থেকে জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মো. শোকরানা, বগুড়া-২ থেকে জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বিউটি বেগম, বগুড়া-৪ থেকে বিএনপি সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক, বগুড়া-৭ থেকে লড়বেন বিএনপির সাবেক সদর উপজেলা সভাপতি সরকার বাদল।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ডা. জিয়াউল হক বলেন, নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। এছাড়া স্থানীয় সামাজিক শক্তিও আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। সঠিক নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো।
আর বিএনপি নেতা শোকরানার মতে, ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন, এই আশাতেই তিনি নির্বাচনে যাচ্ছেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিউটি বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। জনগণের দাবিতেই আমি ভোটে নেমেছি।
সংসদ নির্বাচনে লড়তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে এম একরামুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান।
এছাড়া মেহেরপুর, নীলফামারী, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহসহ প্রায় আসন থেকেই বিভিন্ন মোড়কে নির্বাচনে লড়ছেন বিএনপির নেতারা।
গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক বিএনপি নেতা মো. আখাতারুজ্জামান বলেন, আমি দলকে বারবার বলে আসছি নির্বাচনে আসার জন্য। সরকার যদি আমাদের ধোঁকা দেয়, সেক্ষেত্রে ৭ জানুয়ারির পর আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবো।
এদিকে বিশ্লেষকরা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ভোটের লড়াইয়ে আসার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এতে ভোটাররা বিকল্প খুঁজে পাবেন। আর সুষ্ঠু ভোট হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এবারের সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ৩০টি দল অংশ নিচ্ছে।
তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয় গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ১-৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। এরপরই প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা। ৭ জানুয়ারি ব্যালটপত্রে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার-প্রচারণা শেষ করতে হবে প্রার্থীদের।