রাজনীতি ডেস্ক:
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের (বীরউত্তম) অনুসারীরা আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। ঝালকাঠীর কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই ঘোষণা দেন।
আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাবেক উপজেলা বিএনপি অফিসে (বর্তমান আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়) শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেন।
তবে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য, যারা আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন, তারা দলের পদধারী কেউ নন। তারা দীর্ঘদিন ধরে দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, কাঁঠালিয়ায় আজ যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, তারা দলের পদধারী কেউ নন। দলে তারা দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। বিশেষ করে সেখানে যুবদলের কোনো কমিটি নেই। সম্প্রতি সেখানে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন এই আসনে বিএনপিতে কোণঠাসা ছিল শাহজাহান ওমর। মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের কমিটিতে বিএনপির আরেক নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল অনুসারীদের প্রাধান্য ছিল। জামাল এই আসনে ২০০৮ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিল।
আওয়ামী লীগে যোগদান করা নেতাকর্মীদের মধ্যে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদলের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিব ভুট্টো ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন কবির উল্লেখযোগ্য। তাদের নেতৃত্বে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন বলে তারা দাবি করেন। এ সময় সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজীকেও দেখা যায়।
জানতে চাইলে ইলিয়াছ মিয়া বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় শাহজাহান ওমরের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অবগত আছেন।
কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবুল বাশার বাদশা বলেন, আমরা শুনেছি বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেছেন। তবে কী পরিমাণ পদত্যাগ করেছেন আমাদের জানা নেই। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে।
এদিকে শাহজাহান ওমরের সঙ্গে অবস্থান নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি। তারা হলেন- উপজেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হেমায়েত হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মো. সামছুল আলম। তারা দুজনই শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকন বলেন, এখনো রাজাপুরের অধিকাংশ দায়িত্বশীল নেতা বিএনপির সঙ্গে আছেন। যারা শাহজাহান ওমরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, তারা দলে অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়।