নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিরল ব্যাধির কবলে পড়েছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের অনার্স পড়–য়া রাজিব গাইন (২০)। সে ওই ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামের কৃষক কার্তিক চন্দ্র গাইনের ছেলে। দাম্পত্য জীবনে কার্ত্তিক চন্দ্র গাইন দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। এরমধ্যে রাজিব সবার বড়। জন্মের পর থেকেই সে এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
রাজিবের বাবা কার্ত্তিক চন্দ্র গাইন জানান, জন্মের পর থেকে রাজিবের বামহাতসহ বাম সাইড মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে তা বাড়তে থাকে। সাথে সাথে চলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাও। দেখলে মনে হবে গাছের বাকলের (ছালের) মত ছেয়ে গেছে পুরো হাতটি। আক্রান্ত বাম হাত তার দেহের সব অঙ্গের চেয়েও ভারি হয়ে উঠেছে। বিকট যন্ত্রণায় মাঝে মধ্যে অস্থির হয়ে পড়ছে রাজিব।
তিনি আরো জানান, রাজিবের চিকিৎসার জন্য দেশের অনেক হাসপাতালে গিয়েছি। এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। সঠিক চিকিৎসা কোথাও পাইনি। এমনকি টাকার অভাবে তার লেখা পড়াও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তিনি এ সময় আবেগজড়িত কন্ঠে বলেন, সমাজের উচ্চ বিত্তরা যদি তার ছেলের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন তাহলে তিনি কৃতজ্ঞ থাকবেন।
যন্ত্রণায় কাতর রাজিব জানায়, মাঝে মধ্যে চুলকায় এবং প্রচুর যন্ত্রণা করে তার। তখন সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। সে আক্ষেপ করে আরো বলে, আশাশুনি ডিগ্রি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে আর তার লেখা পড়া হয়নি অর্থের অভাবে। তার কৃষক বাবা তাকে চিকিৎসা করাবেন না তার লেখাপড়ার খরচ যোগাবেন? বাইরের দুনিয়া সে ঠিকমত দেখতে পারে না, কলেজে যেতে পারে না। খেলতে পারেনা। তার জীবনে যেন কোনো আনন্দ নেই।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল জানান, এ রোগটি একটি জন্মগত রোগ। এটি সম্পূর্ণ ভালো না হলেও এটি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। নিয়ন্ত্রনে রেখে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তার সমস্ত শরীরে এই গোটা গোটা টিউমার ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরো জানান, এটি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য সেভাবে তাকে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য: রাজিব ও তার পরিবারের কাছে সাহায্য পাঠানোর জন্য-০১৭৫০-৮০৬৬৫১ নাম্বারে (বিকাশ ও নগদ) অনুরোধ জানানো হয়েছে।