শিক্ষা ডেস্ক:
সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও একক ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও আগের নিয়মে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন। স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) গুচ্ছে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অংশীজনের সঙ্গে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান অধ্যাপক আলমগীর।
তিনি বলেন, অনিবার্য কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের মতো আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা, অর্থাৎ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য নির্ধারিত আসন রাখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। তিনি পোষ্য কোটাপ্রথা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ৬০ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই তাদের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা রাখার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই পোষ্য কোটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয় পড়ানো হবে, শিক্ষার্থী সংখ্যা কত হবে, তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে কমিশন পরিকল্পনা করছে। ইউজিসির মূল লক্ষ্য উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান বজায় রাখা এবং গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি সেগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া। সভায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা হাসানুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ জামির হোসেনসহ ইউজিসি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।