রাজনীতি ডেস্ক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন পাননি আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। তার বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অন্যদিকে মাগুরা-২ আসনে পঞ্চমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার।
তবে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়াকেও দলের পক্ষে কাজের সুযোগ হিসেবে দেখছেন সাইফুজ্জামান শিখর। তার মতে, মনোনয়ন পেলে শুধু নিজ আসন নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হতো, এখন উভয় আসনেই নৌকার পক্ষে প্রচারণার সুযোগ পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে সাকিবসহ উভয়প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে কাজ করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে এক আলাপচারিতায় সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, আমি ইতোমধ্যে সাকিবের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছি। আমার কর্মী-সমর্থকদের প্রতিও এ নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে নৌকা আমাদের কাছে নেত্রীর আমানত। সাকিব বা অন্যকেউ কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। তাই নৌকাকে জিতিয়ে আনতে যা করার সবই করব। সাকিব ও তার বাবার সাথেও আমার কথা হয়েছে, তাদের আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, এটা দলের মনোনয়ন; তাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেভাবেই কাজ শুরু করতে হবে যাতে দলকে জিতিয়ে আনা যায়।
সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রেও বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যদি মনোনয়ন পেতাম তবে আমাকে শুধু আমার আসন নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হতো। কিন্তু এখন মাগুরা-১ আসনের পাশাপাশি মাগুরা-২ আসনেও নৌকার প্রচার-প্রচারণায় নামতে পারব। দলকে জেতাতে কাজ করতে পারব। এ বিষয়ে আমি শ্রী বীরেন শিকদারের সঙ্গেও কথা বলেছি।
‘ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাদের অনুরোধ জানিয়েছি দ্রুত একটি সভা ডেকে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে। সবাই সেভাবে কাজও শুরু করে দিয়েছেন।’, বলেন শিখর।
তার ভাষ্য, ব্যক্তি কোনো বিষয় নয়, দল সবার আগে। দলকে জিতিয়ে আনার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষাই আমাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ) প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাইফুজ্জামান শিখর। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন। তার বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান মাগুরা-২ আসন থেকে চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।