আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছর দুই দফায় ব্যর্থতার পর অবশেষে মহাকাশে নিজেদের সামরিক স্পাই বা নজরদারি স্যাটেলাইট স্থাপনে সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গেল সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে এক বৈঠকে পিয়ংইয়ংকে মহাকাশ কর্মসূচিতে সহায়তার প্রস্তাব দেয় মস্কো।
বিবিসি জানায়, সফলভাবে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে স্থাপনের দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে এটি চালু আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেনি দেশটি।
উত্তর কোরিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরপরই এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, উত্তরের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আবারও নজরদারি বাড়ানো হবে। ফলে ২০১৮ সালে দুই দেশের সম্মতিতে করা সামরিক শান্তি চুক্তির ব্যত্যয় ঘটতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, মালিগিয়ং-১ নামের স্যাটেলাইটটি সঠিকভাবে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। পুরো বিষয়টি প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের তত্ত্বাবধানে হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। স্যাটেলাইটটি দেশটির উত্তর-পশ্চিমে চীন সীমান্তের কাছে সোহে কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব জানান, ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো উৎক্ষেপণ নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক আইনের পরিপন্থি।’
অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের নিন্দা করে জানান, এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, যা উৎক্ষেপণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তাকে ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত করছে। এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের (অপারেশন) প্রধান পরিচালক কাং হো-পিল সতর্ক করে বলেছেন, ‘স্যাটেলাইটটি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ালে সিউল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’ তাদের আশঙ্কা, এই নজরদারি স্যাটেলাইট কিম জং উনকে আরও নির্ভুলভাবে নিজের পরিকল্পনা সাজাতে সাহায্য করবে।