হোম অর্থ ও বাণিজ্য হরতাল-অবরোধে হিলিতে কমেছে বেচাবিক্রি

বাণিজ্য ডেস্ক:

চলমান হরতাল ও অবরোধের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের দ্বিতীয় হিলি স্থল বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। এতে রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে আমদানি করা পণ্য গন্তব্যে পাঠাতে না পেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বন্দরের ব্যবসায়ীদের।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হিলি স্থল বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। তবে কাঙ্খিত পাইকারি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক আব্দুল মালেক বাবু বলেন, হিলি দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, এর মধ্যে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, আলুসহ খাদ্যদ্রব্য অন্যতম। বেশ কিছুদিন থেকে এলসি পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবে খাদ্যদ্রব্যের এলসিগুলো ছোট ছোট করে করে পাচ্ছি। তবে পণ্য আমদানি করা পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। অবরোধে বন্দরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে পারে না।

আরেকজন আমদানিকারক বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি। এ বন্দর থেকে সরকার প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। সাম্প্রতিক সময়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঘন ঘন হরতাল অবরোধের কারণে সময়মতো আমদানি করা মালামাল গন্তব্যে পাঠানো যাচ্ছে না।

পণ্য কিনতে আশা পাইকার জনি রহমান বলেন, হিলি থেকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ কিনে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে থাকি। বর্তমানে আলু পাঠাচ্ছি। তবে মোকামগুলোতে পণ্যের চাহিদা কমেছে। বেচাকেনা একটা স্থবিরতা ওইখানেও বিরাজ করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে পথে বসতে হবে।

পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, হিলি স্থল বন্দরে শত শত লেবার শ্রমিকের কর্মযজ্ঞ তৈরি হয় প্রতিদিন। বর্তমানে আমদানি রফতানি-বাণিজ্য কমে যাওয়ায় শ্রমিকরা মানবতার জীবনযাপন করছে। বন্দরের দৈনন্দিন আয়ও কমেছে।

হিলি কাস্টমসের তথ্যে মতে চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত ভারতীয় ১ হাজার ৫৮৬ ট্রাকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ পেঁয়াজ, আলু, আদা, চিটাগুর ও পাথর রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন