আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৬৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। মস্কোকে মোকাবিলায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি দেয়া হয় অস্ত্রও। সেসব অস্ত্র দিয়েই রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন বাহিনী।
সম্প্রতি বিবিসি উর্দু এক প্রতিবেদনে দাবি করে, চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এনডিটিভিও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে ২০২২ সালের আগস্টে মার্কিন দুটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী ৩৬৪ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে ইসলামাবাদ।
মার্কিন ফেডারেল প্রকিউরমেন্ট ডেটা সিস্টেম থেকে প্রাপ্ত চুক্তির বিবরণও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট মার্কিন কোম্পানি গ্লোবাল মিলিটারি এবং নর্থরপ গ্রুম্যানের সঙ্গে এই চুক্তি হয়, যার অধীনে পাকিস্তান ওই কোম্পানিগুলোর কাছে ১৫৫ মিলিমিটার শেল বিক্রি করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করতে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর একটি কার্গো জাহাজ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ঘাঁটি নুর খান থেকে সাইপ্রাসের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখান থেকে তা যায় রোমানিয়া, তারপর এসব অস্ত্র হস্তান্তর করা হয় ইউক্রেনে। পাঁচ দফায় বিমানে করে এসব অস্ত্র পাঠানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, এই চুক্তিটি হয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের জোট সরকারের সময়, যারা পার্লামেন্টে ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।
যদিও বারবার এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পাকিস্তান সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে বলেই দাবি তাদের। এমনকি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও পাকিস্তান সফরে এসে দেশটির কাছ থেকে অস্ত্র কেনার কথা অস্বীকার করেন।