বাণিজ্য ডেস্ক:
নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের বেড়া ও বাঁশের খুঁটি। ভেঙে গেছে পাকা সিঁড়ি আর পিলার। এমন বেহাল দশা লালমনিরহাটে সরকারিভাবে নির্মিত আলু সংরক্ষণের ঘরগুলোর। এ অবস্থায় আলু নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন কৃষকরা। নিম্নমানের ওই ঘরগুলোতে আলু রাখতে পারছেন না তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি বিপণন অধিদফতরের অধীনে আলুর বহুমুখী ব্যবহার উন্নয়ন সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ছয়টি ও আদিতমারী উপজেলায় সাতটি আলু সংরক্ষণের ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একটি ঘরে ৩০ জন কৃষক আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তুশী এন্টারপ্রাইজ কিছু স্থানে ঘর এখনো নির্মাণ না করায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। শুধু তাই নয়, কিছু ঘর পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ না করেই উত্তোলন করা হয়েছে প্রকল্পের পুরো টাকাও।
কৃষকদের অভিযোগ, ঘরগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। ফলে আলু রাখার আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঘরের বেড়া ও বাঁশের খুঁটি। ভেঙে গেছে পাকা সিঁড়ি আর পিলার।
কৃষক হায়দার আলী জানান, ঘর নির্মাণে কত টাকা বরাদ্দ; দেখভালের দায়িত্বে কে আছেন আমরা কিছুই জানি না। এমনকি সরকারি কোনো কর্মকর্তারা এখনে ঘরের কাজগুলো দেখতে আসেননি। ঘর নিম্নমানের হলে কাউকে বলার বা অভিযোগের কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তুশী এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী শফি উদ্দিন বলেন, ঘরগুলোর যে সব অংশ ক্রটি বা ফাটল বলা হচ্ছে। সেটাকে ক্রটি বা ফাটল বলা যাবে না। আমরা কৃষকদের একটু মেরামত করে নিতে বলেছি। সিমেন্ট আর বালু দিলেই ঠিক হয়ে যাবে।
মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, এ ঘরগুলো নির্মাণের সময় বৃষ্টি বাদলের দিন থাকায় কাজে কিছুটা ত্রুটি হয়েছে। আর বাঁশ কেনাতে একটু ভুল থাকতে পারে।
আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ঘরগুলো নির্মাণের পর যে সব অংশ ভেঙে গেছে তা মেরামত করে দেবেন ঠিকাদার। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, ওই ঘরগুলো পরিদর্শন করে ত্রুটি পেলে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।