নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের উজ্জিবনী ইনষ্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক ইকবাল আলম বালু সম্প্রতি এক নারীসহ শ্যামনগরে জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। বেরসিক জনতা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে পুলিশে দেয়। পুলিশ বলছেন, মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ একজন সাংবাদিকের মধ্যস্ততায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফাদফা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা সদরের প্রাণী সম্পদ অফিস সংলগ্ন এলাকায় ওই প্রধান শিক্ষকের ভাড়া করা একটি বাড়িতে।
এর আগেও তার বিরুদ্ধে তার স্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। এলাকার সচেতন মহল এই লম্পট প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইকবাল আলম বাবলু (৪৮) কালিগঞ্জ উপজেলার বাজার গ্রামের মৃত শেখ গোলাম বারীর মেঝ ছেলে ।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার উজ্জিবনী ইনিস্টিউটের প্রধান শিক্ষক বহু অপকর্মের হোতা ইকবাল আলম বাবলু এক নারীসহ গত ১৭ আক্টোবর রাতে জনতার হাতে আটক হন। আপত্তিকর অবস্থায় তাকে আটকের পর স্থানীয় জনতা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ তাদেরকে থানার আনার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ ওই রাতেই স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মধ্যস্ততায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লম্পট বাবলুর বড় ভাই ডাবলু ওই নারীসহ তাকে ছাড়িয়ে নেন। এদিকে, এ ঘটনায় কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এই প্রধান শিক্ষক বাবলুর বিরুদ্ধে এর আগেও কালিগঞ্জ পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন তারই এক ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে স্কুল থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, শ্যামনগর উপজেলা সদরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে আটক করার পর মুচালিকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, কোন টাকা পয়সা লেনদিন হয়নি।
কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি লোক মুখে শুনেছেন। এ ব্যাপারে তাদের কাছে তথ্য প্রমানসহ কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইকবাল আলম বাবলু বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।