রাজনীতি ডেস্ক:
বিএনপির হরতাল-অবরোধের মধ্যে দেশের সড়কে একের পর এক পুড়ছে বাস। যদিও দলটির পক্ষ থেকে তাদের কর্মসূচিকে ‘শান্তিপূর্ণ’ বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বিবৃতিতেই এসব কর্মসূচির মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রিজভীর এ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, ‘জনগণের শান্তিপূর্ণ দুর্বার আন্দোলন ঠেকাতে শেখ হাসিনা অতীতের মতো আবারো নতুন করে গুমের উৎসব শুরু করেছে। প্রতিটি শহর-বন্দর ও জনপদে এখন সাদা পোশাকধারীদের হাড় হিমকরা আতঙ্ক।’
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪-৫ দিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৭৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ২৩৩টি। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৬ জনের বেশি নেতাকর্মী। বিবৃতিতে জানানো হয়, আর আন্দোলনের মধ্যে মারা গেছেন ১৩ জন।
তবে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ থেকেই শুরু হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের তাণ্ডব। সেদিন পুলিশ পিটিয়ে হত্যার পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় তারা। ২৫ জনের বেশি সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর অবরোধের মধ্যে গাড়িতে আগুন দেয়ায় পরিবহন শ্রমিকেরও মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া গাড়িতে আগুন দিয়ে পালানোর সময় ধাওয়ায় মোহাম্মদপুরে এক বিএনপি কর্মীরও মৃত্যু হয়।
এসবে প্রমাণ মিলে, ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনের নামে দলটি যে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে।
এদিকে রোববার ভোর থেকে শুরু হয়েছে বিএনপির চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত থেকে রাজধানীতে ৮ টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।
এরপরও বিবৃতিতে হুমকি দেয়া হয়, ‘আপনারা কে কি করছেন বাংলাদেশের জনগণ সব হিসাব রাখছে। গণঅভ্যূত্থানে আপনাদেরও পরিণতি কি হবে তা জনগণ নির্ধারণ করে রাখছে।’