আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার ৯০ নং ফটিকখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ প্রক্রিয়া বন্ধ পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন ম্যানেজিং কমিটির তিন সদস্য। লিখিত অভিযোগ ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য তেজেন্দ্র নাথ মন্ডল, রুমি রানী সানা, জমিদাতা সদস্য মঙ্গলময় সানা জানান, গত ২০জুন বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র/ছাত্রীর অভিভাবক সদস্যেদের উপস্থিতিতে যথাযথ বিধি অনুসরণ পূর্বক বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় তারা তিন জন নির্বাচিত হন।
কিন্তু ২৭শে জুন তাদেরকে অবহিত না করে ফটিকখালি গ্রামের নেছা সরদার, আবজাল সরদার, রহমান সরদার, রব্বানী সরদার ও বাক্কার সরদার প্রধান শিক্ষক সীমা বালা সরকারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক মনগড়া কমিটির রেজুলেশন তৈরী করান। পরে প্রধান শিক্ষককে উক্ত কমিটি জমাদানের জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
জমিদাতা সদস্য মঙ্গলময় সানা আরো জানান, স্কুল এলাকায় অধিকাংশ হিন্দু পরিবারের বসবাস হওয়ায় তার পিতা মৃত দুলাল চন্দ্র সানা ১৯৬৯ সালে ৫৩ শতক জমিদান করেন। সেই থেকে স্কুল ও তার মাঠ ব্যবহার করে দূর্গাপুজা, কালিপূজা ও সরস্বতী সহ একাধিক পূজা অর্চনা করা হয়। এমনকি স্কুলের পাশে একটি মন্দিরও রয়েছে। কিন্তু উক্ত চক্রটি বিভিন্ন এলাকা থেকে স্কুলের পাশে খাস সম্পত্তিতে বাড়ি তৈরি করেছে।
ফলে তারা তাদের ধর্মীয় আচারণ বন্ধ করতে জোর করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সীমা বালা সরকার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২৭ জুন কোন প্রকার নিয়মনীতি তুয়াক্কা না করে রহমান সরদার (রব) ও অহিদুর জামানকে সহ-সভাপতি করে জোরপূর্বক মনগড়া কমিটির রেজুলেশন তৈরী করে।
বিদ্যোৎসাহী সদস্যর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরের কথা বলা হলে তাকে (প্রধান শিক্ষককে) মারপিট কারার চেষ্টা ও বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের যে নীতিমালা রয়েছে, সেভাবে গঠন করা হবে। কোন ব্যক্তি যদি জোর জুলুম করে ক্ষমতায় বসতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।