হোম আন্তর্জাতিক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিং: ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিয়ে খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিবের উসকানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উসকানিমূলক প্রশ্ন করে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারি। এবার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়েও উসকানি দিলেন তিনি।

মুশফিকুল ফজল আনসারির বেশির ভাগ প্রশ্নই থাকে উসকানিমূলক ও দেশবিরোধী। তার প্রশ্নে যে অসৎ উদ্দেশ্য থাকে, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত বিএনপির এই প্রবাসী কর্মী।

মুশফিকুল আনসারির এই অপতৎপরতা দেখা গেলো বুধবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ইউপি চেয়ারম্যান গত সোমবার (৬ নভেম্বর) এক সমাবেশে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। আর এ বিষয়টি নিয়েই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে উসকানিমূলক প্রশ্ন করেন মুশফিকুল অনসারি।

তার প্রশ্ন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মীদের উদ্দেশে দেয়া হুমকির মাত্রা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্র?

জবাবে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি আরও বড় পরিসরে কথা বলতে চাই। সেটি হলো, আমাদের কূটনৈতিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থাপনার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাকে আমরা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমি মনে করি, এ ধরনের সহিংস বক্তব্য মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।

একই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন এক ভারতীয় সাংবাদিক। তার শঙ্কা, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান সহিংসতাকে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উসকে দিতে পারে – এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাবনা জানতে চান তিনি। তবে তার এ প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান বেদান্ত প্যাটেল।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হরতাল-অবরোধের নামে দেশজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়ে আসছে বিএনপি ও জামায়াত।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়ার কারণে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি আরোপ করবে কিনা – ব্রিফিংয়ে সময় সংবাদের এমন প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেননি বেদান্ত প্যাটেল।

বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারি বিএনপির পক্ষে প্রশ্ন করলেও বেদান্ত প্যাটেল স্পষ্ট করে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ও বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।’

যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে আসছে। দেশের মানুষের স্বার্থে সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয় এ সংবাদ ব্রিফিংয়ে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন