স্পোর্টস ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা জিইয়ে রাখার মিশনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে শ্রীলঙ্কার। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই টপঅর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৭১ রানে অলআউট হয়েছে তারা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কিউইদের বোলিং তোপে ৩২ রানের মধ্যেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে তারা। ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ২, কুশাল মেন্ডিস ৬ ও সাদেরা সামারাভিক্রমা আউট হন ১ রানে।
৩ উইকেট পড়ে গেলেও মারমার-কাটকাট স্টাইলে ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার কুশাল পেরেরা। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরইমধ্যে ৮ রানে বিদায় নেন চারিথ আসালাঙ্কা। তখন একটু দেখেশুনে খেলছিলেন পেরেরা। হাফসেঞ্চুরি করে পরের ৫ বলে কোনো রান নেননি তিনি। ২৮তম বল ফেস করতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনারের কাছে।
এরপর ধীরে ধীরে ৩৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ম্যাথিউসকে বিদায় করে তাদের জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। ২৭ বলে ১৬ রান করেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ক্রিজে নামলেও টাইমড আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে, খেলতে পারেননি একটি বলও।
স্কোর বোর্ডে আর ১ রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন সিলভা। ২৪ বলে তিনি করেন ১৯ রান। এরপর অনেকক্ষণ ধরে খেলেন মহেশ থিকশানা ও দুশমন্থ চামিরা। দুজনই একের পর এক বলে ডট খেলছিলেন। চামিরাকে ফিরিয়ে তাদের ১৫ রানের জুটি ভাঙেন রাচিন রবীন্দ্র। ২০ বলে চামিরা করেন ১ রান।
চামিরা-থিকশানা জুটির মতো থিকশানা-মদুশাঙ্কা জুটিও দীর্ঘক্ষণ ধরে ক্রিজে টিকে থাকেন। এ সময় কিছু রানও তোলেন তারা। থিকশানার পাশাপাশি মদুশাঙ্কাও স্কোর বোর্ডে অবদান রাখছিলেন। ৪৩ রানের জুটির পর মদুশাঙ্কা ১৯ রানে আউট হলে ইনিংস শেষ হয় শ্রীলঙ্কার। ৯১ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন থিকশানা। কিউইদের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি উইকেট নেন। লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র ও মিচেল স্যান্টনাররা পান ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন টিম সাউদি।