আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটেনের ইতিহাসে ৭০ বছর পর এই প্রথম পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে দেয়া ভাষণে রাজা চার্লস ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির তৈরি করা বিভিন্ন আইনের খসড়া উপস্থাপন করেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রায় ৭০ বছর পর প্রথম কোনো রাজা হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লস ভাষণ দিয়েছেন ‘হাউস অব লর্ডস’-এ। তবে ভাষণ শেষে যাওয়ার পথে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে রাজাকে।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে দেয়া ভাষণে বেশ কয়েকটি নতুন আইনের খসড়া তুলে ধরেন রাজা চার্লস । এর মধ্যে রয়েছে মারাত্মক অপরাধে যাবজ্জীবন শাস্তি পাওয়াদের সাজা মওকুফের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেশি ক্ষমতা প্রদান, ধূমপানের ওপর পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও ভ্যাপের বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞাসহ আরও বেশকিছু বিষয়।
এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকাশ্যে ইসরাইলকে বয়কটের আন্দোলনে অংশ নিতে পারবেন না–এমন আইনও রয়েছে প্রস্তাবনায়। এ ছাড়াও আবাসন, বাণিজ্য, জলবায়ু, খেলাধুলাসহ বেশকিছু বিষয়ে নতুন আইনের খসড়া তুলে ধরেন রাজা চার্লস।
এদিকে রাজার ভাষণকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, আরও সমৃদ্ধ ব্রিটেন গড়তে তার যে স্বপ্ন রয়েছে তার প্রতিফলন ঘটেছে রাজার ভাষণে। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার।
রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর ব্রিটেনের পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাজা কিংবা রানি। তবে ভাষণে উল্লিখিত খসড়া আইনগুলো তৈরি করে সরকার। রাজা শুধু সবার কাছে সেগুলো তুলে ধরেন। এরপর এ নিয়ে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব কমন্স’-এ চলে আইনপ্রণেতাদের তর্কবিতর্ক। এতদিন এ দায়িত্ব সামলেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।