জাতীয় ডেস্ক:
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকে সারাদেশে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। এতে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ৪৮ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে টহল শুরু করেছেন বিজিবি সদস্যরা।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশুলিয়া, সাভার, মিরপুর, রামপুরা, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী ও গাজীপুর-কোনাবাড়ী এলাকার গার্মেন্টসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে ৪৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
২৯ অক্টোবর একদিনের হরতাল ও দুই দফায় ৫ দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষে আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) থেকে আবারো শুরু হয়েছে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। তৃতীয় ধাপে এ অবরোধ কর্মসূচির আগে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে অনলাইনে ব্রিফিং করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সব বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এরপরই আজ সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তিনি।
এর আগে, রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয় ২ নভেম্বর। হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্সসহ বেশকিছু যাত্রীবাস ও পণ্যবাহী গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
এরপর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সারা দেশে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। শনিবার বিরতি দিয়ে রবি ও সোমবার (৫ ও ৬ নভেম্বর) দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ পালন করেছে দলটি।
যদিও আজকের অবরোধে সকাল থেকে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় আগের দফার অবরোধের তুলনায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। কোথাও কোথাও যানজটও দেখা গেছে। তবে তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। যদিও আতঙ্কে চলছে না দূরপাল্লার বাস। আর টার্মিনালগুলোতেও লোকজনের তেমন একটা আনাগোনা নেই। সকাল থেকেই স্বাভাবিক সময়ের মতোই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের।