আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী বছর শেষ হচ্ছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকারের মেয়াদ। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিচ্ছে পশ্চিমারা। তবে যুদ্ধের সময় দেশে নির্বাচন আয়োজন দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে বলে এ ধরনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি। যদিও কয়েক মাস আগেই বলেছিলেন, পশ্চিমাদের অর্থ সহায়তা পেলে তিনি দেশে নির্বাচন দেবেন।
নিয়ম অনুযায়ী, আগামী বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য যুদ্ধের মধ্যেও ইউক্রেন যে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করতে পারে তা দেখাতে কিয়েভকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামসহ অন্যান্য পশ্চিমা কর্মকর্তা।
সোমবার নিয়মিত নৈশকালীন ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, বর্তমানে ইউক্রেনের সামরিক চ্যালেঞ্জের দিকে মনোনিবেশ করা গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধের ২০ মাস চলছে। ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। অধিকৃত এসব ভূখণ্ড উদ্ধারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
তিনি বলেন, আমরা সবাই বুঝি। যুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচনের মতো বিষয়ে এমন ফালতুভাবে জড়ানো সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে।
অবশ্য এর আগে গত আগস্টে মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম নির্বাচনের আহ্বান জানালে জেলেনস্কি বলেছিলেন, মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম আমাকে নির্বাচনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছেন। আমি তাকে বলেছি, আমাদের আইনপ্রণেতারা চাইলে সম্ভব। কারণ যুদ্ধকালীন নির্বাচনের জন্য আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। আমি তাকে বললাম আমাকে ৫০০ কোটি রিভনিয়া (ইউক্রেনীয় মুদ্রা) দিন। আমি এই পরিস্থিতিতে বাজেট থেকে এত অর্থ নিতে পারব না।