জাতীয় ডেস্ক:
রাজধানীর মিরপুরে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর সাড়ে এগারোর সেতারা কনভেনশন সেন্টারের সামনে বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অবরোধকারীরা।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ৬টা ৫৮ মিনিটে শিকড় পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পল্লবী ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে রাজধানীর বাংলামোটরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বাংলামোটর মোড়ে শাহবাগগামী সড়কে পুলিশ বক্সের সামনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাংলামোটর মোড়ে শাহবাগগামী সড়কে পুলিশ বক্সের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির শুরুতে রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেরাদিয়ায় অছিম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা।
এতে দগ্ধ হয়েছেন সবুজ মিয়া (৩০) নামে এক পরিবহন শ্রমিক। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিসংযোগ করা হলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
দগ্ধ সবুজ মিয়া ও তার স্বজনরা জানান, পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন মেরুল বাড্ডা এলাকায়। রমজান পরিবহনের বাসচালক তিনি। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে অছিম পরিবহনের বাসে করে তার গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। পথে মেরাদিয়া বাঁশপট্টি এলাকায় এক অবরোধকারী বাসে উঠেই এর গেটের পাশে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন বাস থেকে নামতে গিয়ে সবুজের শরীরে আগুন ধরে যায়। এসময় বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
এছাড়া উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় পুলিশের টহল গাড়িকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ওই ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহবুব আলীসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর বাইরে ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অবরোধ সমর্থনকারীদের বিক্ষোভ-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগের রাত শনিবার (৪ নভেম্বর) থেকেই সারা দেশে ৯টি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।