হোম ঢাকাফরিদপুর ফরিদপুরে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার মালামাল উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মালামাল সমূহ। আজ সকাল সাড়ে ১১ টায়। পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল জলিল ফরিদপুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা বৃন্দ। এবং এবং বিভিন্ন পিন্টু ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয় গত ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সময় রাত অনুমান ৩ টা হতে ০৪.২০ মিনিটের মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামীরা ফরিদপুর, নগরকান্দা থানাধীন বিল গোবিন্দপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল কুদ্দুস সরদার এর বসত বাড়ীর দোতলা বিল্ডিং এর নিচ তলার বেলকোনির এল কেটে রুমে ঢুকে স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত জব্দ করে। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানা এবং নগরকান্দা থানায় ভিন্ন ভিন্ন দুটি ডাকাতি মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজুর পর পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, ফরিদপুর, সহকারী পুলিশ সুপার, নগরকান্দা সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালী থানা, ফরিদপুরের নেতৃত্বে গুপ্তচর নিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে, তাদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের জন্য কোতয়ালী থানার একটা চৌকস টিম অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ অক্টোবর রাতে আসামী শহিদুল ইসলাম (৪০), মিনু আক্তার ওরফে শারমিন (৩৮), উভয়কে তাদের বর্তমান ঠিকানার বাসা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামী আরিফ মাতুব্বর (৩০) কে তার বসত বাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ২২ অক্টোবর তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত আসামীদের দেয়া তথ্য মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করে আসামী১। রুবেল ফরাজী (৩০), ২। মোঃ সোহেল রানা (৩৬) ৩। সোহাগ শেখ (২৫), ৪। মো: আলী হাওলাদার (৩০) কে ০৪ নভেম্বর দিবাগত রাত ০২.৫০ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাস্টার টেক গ্রামের গ্রীন ভেলী টাওয়ারের ২য় তলা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত হতে উল্লেখিত মালামাল জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ০১টি প্রাইভেট কারসহ ডাকাত দলের ৫ সদস্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ০৮.৩০ মিনিটের সময় আসামী শহিদুল ইসলাম এর বর্তমান ঠিকানার বাসায় আসে। সেখানে তারা রাতের খাওয়া দাওয়া ও ঘটনার পরিকল্পনা করে। শহিদুল ও তার স্ত্রী মিনু আক্তার শারমিনের পরিকল্পনা মাফিক রাত আনুমানিক ০১.৪৫ মিনিটের সময় শহিদুলের বাসা হতে ডাকাত দলের ০৭ সদস্য প্রাইভেট কারে (সামনে সিটে ০২ জন, পিছনের সীটে ০৩ জন এবং তাদের কোলের উপর ০২ জন) ডাকাতি করতে যায়। ডাকাতি শেষে আসামী শহিদুল ও আরিফকে একটা স্মার্ট মোবাইল ফোন, ও নগদ ৬৫০০/- টাকা দিয়ে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দেয়া হয়। আসামীগণ পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য, তারা কোতয়ালী থানার তাম্বুলখানা এলাকার ঘটনার কিছুদিন আগে ফরিদপুর নগরকান্দা থানা এলকায় এক বাড়ীতে ডাকাতি করে। এছাড়া এই ডাকাত দল বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানা এলাকায় এক বাড়ীতে, নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা এলাকায় এক বাড়ীতে, ডিএমপি খিলগাঁও এলাকায় এক বাড়ীতে ডাকাতি করার ঘটনা স্বীকার করে। তাদের দলে ৭ সদস্য অংশগ্রহন করে। ঘটনায় জড়িত বাকী আসামীদের গ্রেফতার ও ডাকাতি হওয়া অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার তদন্ত অব্যহত আছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন