হোম রাজনীতি ‘জামায়াত সম্পৃক্ততা’, গাইনি চিকিৎসককে থানায় নিলো পুলিশ

রাজনীতি ডেস্ক:

রাজশাহীর গাইনি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে শাহ মখদুম থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) বিকেল থেকে দুই ঘণ্টা বাড়ি তল্লাশি শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে পুলিশ নিয়ে যায়।

শাহমখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন, জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর আর্থিক সহায়তাকারী হিসেবে রাজশাহীতে পরিচিত। নগরীতে তার একাধিক বাড়ি রয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, ওই বাড়িতে তিনি জামায়াতের কর্মীদের নিয়ে গোপনে মিটিং করছিলেন এমন অভিযোগে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বাড়িতে এমন কাউকে পাওয়া না গেলেও, তার মোবাইল ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট সেগুলো পর্যালোচনা করবে। ডা. ফাতেমা মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার ও হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী।

ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকার ছোট বোন হোসনেয়ার জানান, বিকেলে একদল ডিবি পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি চালায়। বাড়িতে দুই ঘণ্টা ধরে বাড়ির কোণায় কোণায় তল্লাশি করে। পরে রাত ৭ টার দিকে পুলিশ তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এসময় তার মোবাইল ফোনটি পুলিশ নিয়ে নেয়।

ডা. ফাতেমার বাগানবাড়ির গার্ড শফিউল আলম বলেন, বাড়িতে কোনো মিটিং হচ্ছে এই বলে ডিবি ঢুকে পড়ে। বাড়ি থেকে কিছু পায়নি।

ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার ম্যানেজার মো. আব্দুল জব্বার বলেন, বিকেলে ম্যাডামের বাড়িতে একদল ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। রাত ৭ টার দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যায়। বাসা থেকে কিছু বই নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। সেগুলো মাদ্রাসার।

এর আগে ৪ এপ্রিল ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘুষের বিপুল অঙ্কের অর্থসহ রাজশাহী কর অফিসের সারকেল ১৩ (বৈতনিক) এর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলামক ভূঁইয়াকে রাজশাহীতে তার কার্যালয় থেকে আটক করে দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক)। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রাজশাহী কর অফিসে অভিযান চালায় দুদক। আটককৃত উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ৩৪ তম বিসিএস ক্যাডার। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাটা থানার দাড়িয়ানা গ্রামে। মহিবুল ইসলামের স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনার এর ৫ মাস পর ডা. ফাতেমার ছেলে নগরীর আমচত্বরের বাগানবাড়িতে একজন নারী ও মাদকসহ গ্রেফতার হন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন