স্পোর্টস ডেস্ক:
লিগ ওয়ানের এক সময়ের পরাশক্তি অলিম্পিক লিওঁর চলতি মৌসুমটা খুবই বাজে কাটছে। এখন পর্যন্ত লিগে জয়ের মুখ দেখেনি সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পয়েন্ট তালিকার একদম তলানিতে আছে তারা। আর্জেন্টিনার হয়ে কাতার বিশ্বকাপে শিরোপাজয়ী নিকলাস ট্যাগলিয়াফিকোরও সময়টা ভালো যাচ্ছে না। লিওঁতে খেলা এই ফুলব্যাককে দল থেকে বাদ দিয়েছেন কোচ ফ্যাবিও গ্রসো।
গত শনিবার (২১ অক্টোবর) ক্লেরেমন্ত-ফুটের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল অলিম্পিক লিওঁ। প্রথম জয়ের সন্ধানে থাকা লিওঁ ম্যাচটি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। এই ম্যাচে আর্জেন্টাইন ফুলব্যাক নিকলাস ট্যাগলিয়াফিকোকে বসিয়ে রেখেছিলেন লিওঁর ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও গ্রসো। যে সিদ্ধান্ত অবাক করে দিয়েছে সকলকে। এবার ট্যাগলিয়াফিকো নিজেই জানিয়েছেন সেদিন কেন তাকে বসিয়ে রেখেছিলেন কোচ।
মূলত রাগবি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে যাওয়ার কারণেই তাকে ক্লেরেমন্ত-ফুটের বিপক্ষে বসিয়ে রেখেছিলেন ইতালির হয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গ্রসো।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ঠিক পরপরেই এই ম্যাচ হওয়ায় এমনিতেই ট্যাগলিয়াফিকোর খেলার সম্ভাবনা কম ছিল। কিন্তু ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপে জানায় হাড়ির খবর। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাগবি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন এই ফুলব্যাক। যে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ট্যাগলিয়াফিকোর দেশ। ম্যাচের আগেরদিন তার এমন কাণ্ড পছন্দ করেননি কোচ। তাই জানিয়ে দেন মাঠে না নামানোর সিদ্ধান্ত।
সে সময় বিষয়টা শুধুই গুঞ্জন মনে করা হলেও এবার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ইনস্টাগ্রামে ট্যাগলিয়াফিকো লিখেছেন, ‘আমরা এটা নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সে আমাকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্যই, আমি এটা মেনে নিয়েছি। সে আমাকে আরও বলেছে, শুক্রবার আমার রাগবি ম্যাচ দেখতে যাওয়াটা তার ভালো লাগেনি, যেটাতে আমরা হেরেছি। আমি তাকে সম্মান করি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একসঙ্গে থাকা ও শক্তিশালী থাকা। প্রচুর মানুষ দলের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানে, যেখানে আমি খেলি। আমি আমার সবটা দিয়ে প্রতিদিন চেষ্টা করে যাব, যেটা আমি সবসময় করি।
গত সেপ্টেম্বরে লিওঁর কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন গ্রসো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলকে কোনো জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। ৯ ম্যাচ শেষে ৩ ড্রয়ে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার একদম তলানিতে আছে লিওঁ।