জাতীয় ডেস্ক:
গ্রামাঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা যেমন পৌঁছেছে, তেমনি সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যও পূরণ হয়েছে। তবে এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চাহিদা বাড়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রতিনিয়ত দেখা দিয়েছে ওষুধ সংকট। ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এসে অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে।
১৫ লাখের বেশি জনসংখ্যার শহর উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইউনিয়নে গড়ে তোলা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সরকারিভাবে নিয়মিত ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে বিনা মূল্যে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৩টি ইউনিয়নে ১৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাচ্ছে।
সপ্তাহের শুক্রবার ছাড়া বাকি ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সব বয়সীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বলছে, একেকটি ক্লিনিক থেকে ছয় হাজার মানুষকে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এখান থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
সরকারের উদ্যোগে দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার কারণে এর চাহিদাও বেড়েছে। একদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অন্যদিকে চাহিদা বাড়ায় মাসব্যাপী ওষুধ সরবরাহ করার কথা থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ১৫ দিন ওষুধ দিতে পারছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর থেকে ওষুধ সংকটে পড়ছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এসে হাত বাড়িয়েও অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে।
ওষুধ নিতে আসা নারগুন ইউনিয়নের শ্রমিক আবুল কাসেম, ইব্রাহিম আলী, স্বপন দাসসহ অনেকে জানান, মাসের শুরু থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ক্লিনিক থেকে সব ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। পরে ওষুধ সংকট দেখা দেয়। পুরো মাস ঠিকমতো ওষুধ পাওয়া যায় না। ফলে শহরে গিয়ে ওষুধ কিনতে হয়। সারা মাস ওষুধ সরবরাহের দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ জানান, রোগের মাত্রা বৃদ্ধি ও এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যা অনুযায়ী নতুন করে সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদা পাঠানো হবে। আর চাহিদামতো ওষুধ পেলে সংকট কেটে যাবে।