হোম আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন ইস্যুতে এবার এরদোয়ান-রাইসির ফোনালাপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরুর পরপরই ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায় ইরান। অপরদিকে সরাসরি কোনো পক্ষ না নিলেও গাজায় ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। এবার ফিলিস্তিন ইস্যুতে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। খবর আল-জাজিরার।

ফোনালাপে, গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য তুরস্ক কাজ করছে বলে রাইসিকে জানান এরদোয়ান। পরিস্থিতি শান্ত করার প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

তবে এই দুই নেতার মধ্যে আর কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এর আগে বুধবার (১১ অক্টোবর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে) নেতাদের বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যা করছে, তা কোনো রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরাইলের চলমান ভয়াবহ হামলার ঘটনা লজ্জাজনক।’

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের পরিবর্তে ইসরাইল যদি একটি সংস্থার মতো কাজ করে, তাহলে সেটির শেষও হবে সেভাবেই। ইসরাইলের এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। গাজায় নীতিহীন আক্রমণ ইসরাইলকে বৈশ্বিক জনমতের দৃষ্টিতে একটি অপ্রত্যাশিত জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।

এছাড়া গেল সপ্তাহে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে ‘ফিলিস্তিনি জাতির বৈধ প্রতিরক্ষাকে সমর্থন’ করার কথা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

তিনি বলেন, ‘ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী (ইসরাইল) এবং তার সমর্থকরা এই অঞ্চলের জাতিগুলোর নিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য দায়ী এবং এই বিষয়ে তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’

এসময় হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের পাশাপাশি সিরিয়া, লেবানন এবং ইরাকের মতো দেশগুলোর ‘প্রতিরোধ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন রাইসি। পাশাপাশি ‘ফিলিস্তিনি জাতিকে সমর্থন’ করার জন্য মুসলিম সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন