হোম খুলনাসাতক্ষীরা কৃষিতে জীবাশ্ম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে -সাতক্ষীরায় বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে কৃষক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সারা বিশ্বে পালিত হবে বিশ্বে খাদ্য দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিবাদ্য হচ্ছে:‘পানিই জীবন, পানিই খাদ্য, কাউকে বি ত করা হবে না’। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ-সাতক্ষীরা, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্র”প অন ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)’র উদ্যোগে সাতক্ষীরায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা সদরের শহরতলির বাটকেখালি এলাকায় ১৪ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার সকাল ৯টায় এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কৃষাণ ও কৃষাণিরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকাড ও ব্যানার বহন করে। এ সময় কৃষকরা খাদ্য দিবসের দাবিসমূহ: প্লাকাড ও ব্যানাওে তুলে ধরে। তাদের দাবিসমূহ: ‘দেশের সকলের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন কর। আমদানি নির্ভর জ্বালানি থেকে বেরিয়ে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করে কম খরচে খাদ্য উৎপাদন করে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ কর। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় বিজলি-কৃষি বা অ্যাগ্রভোল্টাইক প্রযুক্তি যুক্ত করতে হবে, খাদ্য স্বাধিকার ও জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বিজলি-কৃষি কর্মসূচি গ্রহণ। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির যন্ত্রাংশের উপর সকল শুল্ক প্রত্যাহার কর। জীবাশ্ম জ্বালানি জীবন ও জীবিকার জন্য অন্তরায়, জল এবং জমি হলো প্রান্তিক কৃষকের একমাত্র অধিকার, খাদ্য স্বাধিকারের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ কর, কৃষিজমিতে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক কোন স্থাপনা করা যাবে না’। এসব দাবি কৃষক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উত্থাপন করেন।

কৃষক মিন্টু সরদারের সভাপতিত্বে কৃষক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আকাশ দাস, অরুনা রানী, অধিকারকর্মী গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, কৃষাণি কল্পনা রানী, সইদা খাতুন, সুশীলা দাস, রুকাইয়া খাতুন, কবিতা রানী, আশুদেব দাস, উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান, ভূমিহীন নেতা আবদুস সামাদ, কৃষক আবদুর রহমান, অশোক দাস প্রমুখ।

কৃষক সমাবেশে কৃষক ও কৃষাণিরা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯৪তম। বাংলাদেশ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ তালকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে। জ্বালানি সংকট বর্তমান বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছেন এবং সারা বিশ্বে খাদনিরাপাহীনতাকে বাড়িয়ে তুলছে। বাংলাদেশে কৃষিজমি খুবই সীমতি। ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভ দিনদিন কমছে। এদিকে কৃষিতে পানির চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক জলবায়ু পারিবর্তনের ফলে আর্দ মৌসুমে অতিবৃষ্টির ফলে ‘অধ্যাধিক পানি’ কিন্তু মৌসুমে ‘ক্ষরা’ ভূগর্ভস্থ পানির উপর উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কৃষিকাজের নির্ভরতা বাড়াচ্ছ। এখন থেকেই আমাদের পানির ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব হতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। কৃষিকাজে জীবশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন