অনলাইন ডেস্ক:
উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের সঙ্গে মতিঝিল অংশের সমন্বয়ের জন্য আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মেট্রোরেলের দ্বিতীয় পর্ব আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি জানান, আগামী ২৯ অক্টোবর মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করা হবে। ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল এই তিনটা স্টেশন দিয়ে শুরু হবে প্রাথমিক যাত্রা।
এম এ এন সিদ্দিক জানান, উদ্বোধনের পরের দিন থেকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে সকাল ৮টা থেকে ১১টা, এই তিন ঘণ্টা ট্রেন চলবে, পরে পর্যায়ক্রম প্রথমপর্বের মতো সময় ও স্টেশন দুটোই বাড়বে।
তিনি আরও জানান, তিন মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবগুলো স্টেশনই চালু হবে। তিনমাস পরে প্রথম পর্বের সঙ্গে সমন্বয় হলে বর্ধিত নতুন শিডিউলে মেট্রোরেল চলবে উত্তরা থেকে মতিঝিল।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, সময়সূচি অনুযায়ী উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগারগাঁও থেকে ট্রেনে চড়ে মতিঝিল যাবেন। সেখানে নামফলক উন্মোচন করবেন। এরপর ট্রেনে চড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো স্টেশনে নেমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
গত ৭ জুলাই আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর উত্তরা-আগারগাঁও মেট্রোরেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরইমধ্যে এই অংশের সবগুলো স্টেশন চালু হয়েছে। এখন মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০,০০০ যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন।
মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় খরচ বেড়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।
মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।