হোম অন্যান্যসারাদেশ দাকোপে চাঞ্চল্যকর নাসির সানা হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী আসামি হিসেবে গ্রেফতার

দাকোপে চাঞ্চল্যকর নাসির সানা হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী আসামি হিসেবে গ্রেফতার

কর্তৃক
০ মন্তব্য 88 ভিউজ

খুলনা অফিস :
সরকারি ইজারাদারদের দখলচ্যুত করতে এবং প্রতিপক্ষকে সায়েস্তা করতে খুলনা জেলার দাকোপের নিরিহি মৎস্যজীবি নাসির সানাকে খুন করা হয়। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে প্রকৃত খুনিরা হয়ে যায় মামলার স্বাক্ষী। খুলনা সিআইডি’র কাছে গ্রেফতারকৃত চাঞ্চল্যকর নাসির সানা হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী হাতেম সানা ১৬১ ধারার জবাববন্দীতে এ তথ্য দিয়েছে। সিআইডি’র কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এসব কথা জানা গেছে।
খুলনা সিআইডি সুত্রে জানা গেছে, দাকোপের কামারগোদা খালটি স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল অবৈধভাবে দখল করে আসছিল। ২০১৮ সালে জয়নগর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি লতিফ সানা সরকারিভাবে ওই নদীটি ইজারা পায়। ওই নদী অবৈধভাবে দখল রাখার জন্য স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে জয়নগর গ্রামের হাতেম সানা (৫০), অচিন্ত্য মন্ডল (২৬) সহ ৫/৬ জন মিলে ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাতে নিরিহ মৎস্যজীবী নাসির সানা (৪৮) কে হত্যা করে ঠাকুরনবাড়ি খালে ফেলে রাখে। পরের দিন নাসির সানার পিতা আব্দুর রাজ্জাক সানাকে বাদি করে নিরিহ ১৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য খুলনা সিআইডি’র ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল কাদের মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন খুলনা সিআইডি’র পুলিশ পরির্দশক শেখ শাহাজাহানকে। দীর্ঘ ২ বছর তদন্ত শেষে গত রোববার রাতে ওই মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী হাতেম আলী সানা (৪৯), শংকর মন্ডলের ছেলে অচিন্ত্য মন্ডল ও শংকর মন্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা মন্ডল ওরফে সোনালী মন্ডলকে সিআইডি গ্রেফতার করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, নদী নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাসিরকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রধান স্বাক্ষী হাতেম সানা এ হত্যাকান্ডের মুল নায়ক বলে তিনি জানান। মামলার বাদি আঃ রাজ্জাক সানা বলেন, ‘স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে আমি নিরিহ ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করি’। নিজেকে অক্ষর জ্ঞানহীন দাবি করে তিনি বলেন, আমার ছেলে খুন হওয়ার পরে আমাকে ভূল বুঝিয়ে এ মামলাটি করানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন