হোম অন্যান্যসারাদেশ মেঘনায় তিন জেলেকে হত্যা, ইউএনও অফিস ও থানা ঘেরাও

অনলাইন ডেস্ক:

মেঘনা নদীর চট্টগ্রাম-সন্দীপ চ্যানেলে প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে নোয়াখালীর তিন জেলে নিহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে নিহতদের পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন। এসময় বিক্ষোভকারীরা সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও চরজব্বার থানা ঘেরাও করে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে দফায় দফায় এ কর্মসূচী পালন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচী তুলে নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মেঘনা নদীর সন্দীপ চ্যানেলে মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝির দখলীয় একটি মাছ ধরার খোপে মাছ ধরছিলেন সুবর্ণচর উপজেলার জেলেরা। ওইদিন সন্ধ্যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের কেফায়েত মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই জেলেদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের প্রতিহত করতে গেলে জেলেদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করলে অন্তত ৬জনকে জখম করে সন্ত্রাসীরা।

পরদিন বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আহতদের মধ্যে আবদুর রহমান ও রাজু সন্দীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

সর্বশেষ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল নামে আরও এক জেলে মারা যান। বর্তমানে মৃত্যুর সাথে লড়ছে জিল্লুর রহমান, নূর আরম মিয়া ও নূর হোসেন নামের আরও তিন জেলে। এছাড়া জুয়েল নামের এক জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত তিন জেলের বাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তিন জেলে হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই জেলে হত্যার বিচারের দাবীতে তারা বিক্ষোভ মিছিল, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চরজব্বার থানা ঘেরাও করা হয়েছে। পরে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে তারা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার জানান, নিহতদের মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং নিহতদের স্বজনদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন