হোম এক্সক্লুসিভ দল ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে নাফিস ইকবাল: আমি মানুষ, বাকিদের মতো আমারও আবেগ আছে

স্পোর্টস ডেস্ক:

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ওয়ানডের মাঝেই দলের ড্রেসিং রুম ছেড়ে যান টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। অনেকেরই ধারণা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। এর পরেই জানা যায়, তামিম ইকবালের এই অগ্রজকে টিম ম্যানেজারের পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে বিসিবি। তবে খেলার মাঝপথে টিম ছেড়ে যাওয়ায় এই সাবেক ক্রিকেটারের সমালোচনা করেছেন টাইগারদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

তামিমের বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়ার আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে টিম ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালকেও। নাফিস ইকবালের জায়গায় ভারত বিশ্বকাপে রাবিদ ইমাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্বে পালন করবেন। বিশ্বকাপে মিডিয়া ম্যানেজারের পাশাপাশি টিম ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করবেন তিনি।

বাংলাদেশের টিম ম্যানেজার থাকছেন না জানার পর নাফিস বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় ম্যাচ চলাকালে দল ছেড়ে চলে যান। তার এমন কর্মকাণ্ডকে অপেশাদারসুলভ বলে আখ্যা দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানান, নাফিস ইকবাল যদি আসলেই খেলার মাঝখানে দল ছেড়ে চলে যায়, তবে খুবই আনপ্রফেশনাল কাজ করেছেন। তার দিক থেকেও, বিসিবির দিক থেকেও এটা বাজে দৃষ্টান্ত।

এর কিছুক্ষণ পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে পোস্ট দেন নাফিস। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের নায়ক এই ওপেনার ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন জাতীয় দলকে ছেড়ে যাওয়াটা আবেগের বশেই ঘটেছে, যেহেতু আমাকে ২৬ তারিখ সকালেই জানানো হয়েছিল যে, আমি বিশ্বকাপ কন্টিনজেন্টের অংশ হচ্ছি না। ঠিক যেমনটি গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ও ঘটেছিল। আমিও মানুষ, বাকিদের মতো আমারও আবেগ আছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘না আমাকে বিসিবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, আর না এর সঙ্গে (দল ছেড়ে যাওয়া) আমার ছোটভাই তামিম ইকবালের সঙ্গে এই মুহূর্তে ঘটে যাওয়া বিষয়ের কোন সম্পর্ক আছে। আমার মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আরও ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়েছে।’

বিসিবির সব প্রটোকল ও কোড মেনেই দল ছেড়েছেন বলে জানান তিনি, ‘আমি সেদিন সম্পূর্ণভাবে বোর্ডের প্রটোকল ও কোড অব কনডাক্ট মেনেই করেছি। আমি মাঠে আসার আগেই প্রথমে আমার মতামত প্রধান কোচকে জানিয়েছি এবং তারপর বিসিবির সকল কর্মকর্তাকেও এ বিষয়ে অবিহিত করেছি।’

নাফিস আরও বলেন, ‘আমিনিশ্চিত করছি, কোন কাজই আমি অর্ধেক বাকি রেখে দল ছাড়িনি, এর মধ্যে সেই ম্যাচের জন্য টিমের তালিকায় স্বাক্ষর করা থেকে শুরু করে, নিউজিল্যান্ড সিরিজের হিসাবরক্ষণ বিভাগের কাগজ ঠিক করা সবই রয়েছে, এমনকি বিশ্বকাপের জন্য আমাকে যে দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়েছিল, তা-ও আমি ফেরত দিয়েছি।’

নাফিস মনে করেন ঘটনা যা ঘটেছে তার জন্য তার কিছুটা হলেও সম্মান প্রাপ্য, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যা ঘটেছে তাকে সম্মান করা উচিত এব ঘটনা সম্পর্কে না জেনেই কেউ এভাবে মন্তব্য করতে পারেন না। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিনগুলোতে সৎ থাকার চেষ্টা করেছি এবং এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবেও আমি আমার বেস্ট আউটপুটটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি এবং এখনও করে যাচ্ছি।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন