অনলাইন ডেস্ক:
সালিশ বৈঠক চলাকালে হঠাৎ মারামারি বেঁধে যায়। এ সময় আব্দুস সাত্তার নামে একজনকে মারতে থাকে প্রতিপক্ষ। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে ঘরে চলে যান তিনি। তারপরও ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় সাত্তারকে। এ দৃশ্য দেখে ছোট্ট মেয়ে ফাতেহা বাবার কাছে এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ হারায় সে। জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসার এ সালিশে মারামারিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ৪ জন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু ফাতেহা খাতুন (২) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। আহতরা হলেন, কুলসুম (২২), ছাত্তার (৩৬), মুক্তার (২৭) ও ইতি (২০)।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
নিহতের চাচা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী লাল মিয়ার সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে নালিশ করে। এর ধারাবাহিকতায় ইউপি চেয়ারম্যান কয়েকজন ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিলে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশ শুরুর একপর্যায়ে জমির কাগজপত্র দেখা শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে আমাদের তর্ক হয়। এর একপর্যায়ে তারা দা ও লাঠি এনে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। তখন শিশু ফাতেহার বাবা আব্দুস সাত্তারকে এলোপাতাড়ি মারা হয়। তিনি নিজেকে রক্ষায় দৌড়ে বসতঘরে আশ্রয় নিলে তারা ঘরে ঢুকে কোপাতে থাকে। এ সময় আব্দুস সাত্তারের ছোট্ট শিশুটি বাবার কাছে গেলে হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে মারা যায়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভাই, ভাবিসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।’