বাগেরহাট প্রতিনিধি:
এলএনজি ভিত্তিক টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করো, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করো” শ্লোগানে ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মোংলা নাগরিক সমাজ, ক্লিন খুলনা ও বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা কর্মজোট ( বিডাব্লিউজিইডি ) আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, পেট্রল, ডিজেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ প্রায় সব জীবাশ্ম জ্বালানিতেই কার্বন বিদ্যমান এবং তা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবেই।এই কার্বন ডাই-অক্সাইডই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছে, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত ওজোনস্তরকে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৩, ৪ বা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে, যতক্ষণ না নিঃসরণ বন্ধ হয়। এটি আমাদের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এবং সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দুই মেরুতে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। ফলে কার্বনের এই নিঃসরণ যদি কমিয়ে আনা না যায়, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে একবার করে ৩০ কোটি মানুষ বসবাসের বিশাল এলাকা সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবে (অভিজ্ঞজনের ধারনা)। তাই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এলএনজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন করতে হবে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা( MCPP) অনুসারে আমাদের লক্ষ্য আমাদের নিজস্ব স্থায়ীত্ব, জ্বালানি স্বাধীনতা এবং জ্বালানি সুরক্ষিত করা এবং বিশ্বে সবুজ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হয়ে ওঠা এবং, আন্তর্জাতিক এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে আধুনিকায়ণ করা। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এবং ২০৪১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৪০% ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য শক্তিতে পৌঁছানো।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নাগরিক নেতা সাংবাদিক এইচ এম দুলাল, মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু প্রমুখ।